আজ, সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ দেহ নিয়ে যাওয়া হবে সারদা মঠে।
প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃতলোকে পাড়ি দিলেন সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা (Sarada Math president) প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা (Pravrajika Bhaktiprana)। রবিবার রাত ১১টা ২৪ মিনিট নাগাদ তিনি ইহলোক ছেড়ে চলে যান। দক্ষিণ কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে কয়েক দিন ধরে ভক্তিপ্রাণা মাতাজি চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৭ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রবীণ সন্ন্যাসিনীকে। হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলেন তিনি। জানা যাচ্ছে, ফুসফুসেও সংক্রমণ ছড়িয়ে ছিল। তীব্র জ্বরেও আক্রান্ত ছিলেন। রবিবার দুপুর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা অতি সঙ্কটজনক হয়ে যায়। বিকেলে তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রাতে তাঁর দেহ আনা হয় টালিগঞ্জে মাতৃ ভবনে। সকাল ১০টা নাগাদ দেহ নিয়ে যাওয়া হবে সারদা মঠে।
১৯৯৮ সালের ২০ ডিসেম্বর সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সহ অধ্যক্ষা পদে নিযুক্ত হন প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা। ২০০৯ সালে সঙ্ঘের তৃতীয় অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা শ্রদ্ধাপ্রাণার মৃত্যুর পরে, ওই বছরের ২ এপ্রিল ওই পদে বসেন ভক্তিপ্রাণা মাতাজি। টানা ১৩ বছর তিনি অধ্যক্ষা পদের দায়িত্ব সামলেছেন। সারা জীবন সমাজ ও মানব কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন ভক্তিপ্রাণা মাতাজি। তার আগে দীর্ঘ সময় তিনি টালিগঞ্জের মাতৃভবন হাসপাতালের সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই ওই হাসপাতাল ১০ শয্যার প্রসূতি সদন থেকে ১০০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালে উন্নীত হয়। সেখানে সকলের কাছে তিনি ছিলেন 'বড় মা' নামে পরিচিত। ধাত্রী বিদ্যায় পারদর্শী মাতাজি আপন স্নেহে ও মমতায় সারদা মাতৃভবনকে মা ও শিশুদের চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য হাসপাতাল হিসেবে সমাজের বুকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: সারদা মায়ের জন্মভিটেতেও পুজো হয় দেবী জগদ্ধাত্রীর! জানেন এর পিছনের গল্প?
১৯২০ সালের অক্টোবরে কলকাতাতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি ছিল অগাধ। যোগাযোগ ছিল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সঙ্গেও। সারদেশ্বরী আশ্রম ও হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে তিনি নার্সিং প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৫০ সালে টালিগঞ্জের মাতৃভবন হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজে যোগ দেন। ১৯৫৩ সালে ভক্তিপ্রাণা মাতাজীকে ব্রহ্মচর্যে দীক্ষা দেন শ্রী রামকৃষ্ণের প্রত্যক্ষ শিষ্য তথা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের চতুর্থ অধ্যক্ষ স্বামী বিজ্ঞানানন্দ। অনেকের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন পূর্বাশ্রমের নাম কল্যাণীদি হিসেবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।