Saradha Scam: জিজ্ঞাসাবাদের পর ফ্রিজ করা হয়েছে রজতবাবুর ২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
Saradha Scam
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার, গরু পাচারের পর এবারে সারদা চিটফান্ড মামলায় (Saradha Scam) তৎপর ইডি বা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সারদা চিটফান্ড মামলায় প্রাক্তন পুলিশকর্তা রজত মজুমদারকে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি ফ্রিজ করা হয়েছে রজতবাবুর ২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। প্রায় ৮ বছর আগে সারদা কাণ্ড নিয়ে সিবিআই-ইডির তদন্ত শুরু হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন দুর্নীতির মামলার তদন্ত শুরু হতেই সারদা মামলার তদন্ত পিছিয়ে গিয়েছিল। ফলে এবারে ফের তৎপর হয়ে উঠেছে ইডি। তাই এবারে ইডির স্ক্যানারে রাজ্যের প্রাক্তন ডিজি।
সম্প্রতি সারদা মামলায় (Saradha Scam) নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন পুলিশকর্তা রজত মজুমদারের। ফলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠায় ইডির আধিকারিকরা। একসময় রজতবাবু রাজ্য পুলিশের ডিজি ছিলেন। এরপর পরবর্তীতে রজত মজুমদার সারদায় যোগ দেন ও তাঁকে সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়। এমনকি তিনি পরে রাজনীতিতেও সরাসরি প্রবেশ করেন। এরপর এই প্রাক্তন পুলিশ কর্তা নাম লেখান বাংলা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসেও।
সারদা মামলায় (Saradha Scam) এর আগেও গ্রেফতার হতে হয়েছে রজত মজুমদারকে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সিবিআই। পরে তিনি জামিনও পেয়ে যান। কিন্তু রেহাই হল না। ফের ইডির নজরে এসেছেন তিনি। তাই তাঁকে ইডির বিধান নগরের কার্যালয়ে ডেকে পাঠিয়ে শনিবার পর্যন্ত দু’দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁকে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করা হয় ও তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয় বলে সূত্রের দাবি।
আরও পড়ুন: আদালতে স্বস্তি শুভেন্দুর! বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আনা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট
প্রসঙ্গত, সারদা মামলা (Saradha Scam) নিয়ে তদন্ত শুরু করা হলে সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয় ও তারা আজও সংশোধনাগারে বন্দী। সারদা চিটফান্ড মামলায় ২০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। আজও সেই টাকা সম্পূর্ণভাবে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
তবে আট বছর ধরে সারদা মামলার তদন্ত যেখানে পিছিয়ে গেছে, সেখানে হঠাৎ পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগেই আবারও সারদা নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের তৎপরতা শুরু হওয়ায় জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বাংলার শাসক শিবিরের অভিযোগ ভোটের আগে তাদের বেকায়দা ফেলতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যদিকে এই যুক্তি খারিজ করে দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে যে, আদালতের নির্দেশেই সারদা কাণ্ডে (Saradha Scam) সিবিআই ও ইডির তদন্ত চলছে। বিপুল টাকা এখনও উদ্ধার হয়নি। ফলে বাকি টাকা উদ্ধারের জন্যই তদন্তকারী সংস্থা ফের তৎপর হয়ে উঠেছে।
সূত্রের খবর অনযায়ী, আগামী দিনে এই ঘটনায় (Saradha Scam) আরও অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ইডির জেরার মুখে পড়তে হবে বলে জানা গিয়েছে। যেসব প্রভাবশালীরা সারদা থেকে লাভবান হয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁদের খুব শীঘ্রই তলব করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।