img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Nadia: শান্তিপুরে কচুরিপানা থেকে তৈরি হচ্ছে শাড়ি! নয়া উদ্যোগ দিশা দেখাচ্ছে কর্মসংস্থানেরও

কচুরিপানা থেকেও শাড়ি হয়! বিশ্বাস না হয়, নিজের চোখেই দেখে আসুন না

img

নয়া এই শাড়ির টানেই ছুটে আসছেন ছত্তিশগড়, মুম্বই থেকে ছাত্রছাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র

  2024-02-27 17:35:03

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিত্যক্ত কিংবা অব্যবহৃত জিনিসকে কাজে লাগিয়ে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার আন্তর্জাতিক চিন্তাভাবনার ওপর ভর করে এখন সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প হচ্ছে। একদিকে যেমন সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে নানা কাজ করা হচ্ছে, তেমনি বাড়ি বাড়ি থেকে সংগৃহীত পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্যেরও প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়েছে সরকারি তত্ত্বাবধানে। কেন্দ্রীয় সরকারের এ ধরনের নানা ক্ষুদ্র, কুটির কিংবা হস্তশিল্পের প্রকল্প রয়েছে। মহিলা হোক বা পুরুষ, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে কিংবা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তৈরি করে তাদের মধ্য দিয়ে উৎপাদন এবং বিপণন পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় (Nadia)।

কীভাবে এই ভাবনা মাথায় এল?

আজ থেকে পাঁচ বছর আগে বনগাঁর এরকমই এক উদ্যোগী কৌশিক মণ্ডল নদিয়ার শান্তিপুর এলাকার বেশ কিছু তাঁতি এবং বাংলার বিভিন্ন জেলার পরিবেশ রক্ষা এবং নতুন ধরনের চিন্তাভাবনাসম্পন্ন মানুষকে নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (Nadia)। যদিও সে সময় নদী পরিষ্কার তাঁদের অন্যতম প্রধান কাজ ছিল। আর তা করতে গিয়ে তাঁরা প্রথম লক্ষ্য করেন, কোনও কাজে না লাগা কচুরিপানা মাছচাষের ক্ষেত্রেই হোক বা নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা, সবকিছুতেই প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। সেগুলি পরিষ্কার করার জন্য কৃষকদের অযথা অর্থ ব্যয় হয়। অন্যদিকে সেগুলি পুকুর কিংবা জলাশয়ের পাড়ে পড়ে থেকে থেকে নষ্ট হয়। এর পরই কচুরিপানা দিয়ে কিছু করার চিন্তাভাবনা তাঁর মাথায় আসে।

কীভাবে হচ্ছে শাড়ি তৈরির কাজ? (Nadia)

পরীক্ষামূলকভাবে কাজ শুরু হয়। শান্তিপুরের বিভিন্ন ডোবা, পুকুর পরিষ্কারের পর কচুরিপানার গোড়া এবং পাতা ফেলে দিয়ে, প্রধান কাণ্ড কিংবা পাতার মোটা ডাটা থেকে আঁশ ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। পরে তা শুকানো হয়। তবে এক্ষেত্রে মাত্র দু'কেজি তন্তু পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গে স্পিনিং মিলের সংখ্যা কম থাকার কারণে তাঁরা বিভিন্ন রাজ্যের এ ধরনের মিলে সুতো তৈরি করে নিয়ে আসেন। যেগুলি কখনও টানায়, কখনও পোড়েন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ২৫ শতাংশের বেশি কখনই নয়। কারণ হিসেবে কৌশিকবাবু জানান, টেকসই এবং ক্রেতাদের ক্ষমতার দিকে নজর রেখেই এটা করা হয়ে থেকে। এভাবেই প্রায় ৪০০ শাড়ি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে (Nadia)। যা সাড়া ফেলে দিয়েছে ইউরোপ, আমেরিকার মতো দেশগুলিতে। তাদের সংগঠনকে পুরস্কৃতও করা হয়েছে। আগামী দিনে অত্যন্ত কম মূলধনের এই ব্যবসায় অনেকেই আগ্রহী হবেন বলে তাঁর আশা। তবে পরিবেশের কথা ভেবে এবং পরিত্যক্ত জিনিসকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার বিষয়টিতে কেন্দ্র এবং রাজ্য, উভয় সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। 

কাজ দেখতে আসছেন দূরদূরান্তের গবেষক ছাত্রছাত্রীরা (Nadia)

নদীয়ার শান্তিপুর মহাপ্রভু পাড়ায় এই কাজ দেখতে এসেছিলেন ছত্তিশগড় রাজ্যের জব্বলপুর এলাকা থেকে সোয়েতা স্যোনি। তিনি জানান, তাঁরা পুরুষ ও মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের হস্তচালিত কুটির শিল্প কিংবা ব্যবসায়িক স্বনির্ভরতার কাজে সহযোগিতা করে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কচুরিপানার এই শাড়ি দেখার পর নিজে এসে স্বচক্ষে দেখে গেলেন শাড়ি উৎপাদন। আগামী দিনে রাজ্যে ফিরে গিয়ে সেখানে এ ধরনের একটি প্রকল্প করার চিন্তাভাবনা আছে। সুদূর মুম্বই থেকে অর্পনা গাইকোড-এর নেতৃত্বে ৮ ছাত্রছাত্রীর একদল ফ্যাশন ডিজাইন এবং বস্ত্র বয়ন সংক্রান্ত পড়াশোনা করা গবেষক ছাত্রছাত্রীরা একইভাবে স্বচক্ষে দেখতে এসেছিলেন শান্তিপুরে (Nadia)। তাঁরাও জানাচ্ছেন, অত্যন্ত যুগোপযোগী এই প্রকল্পে আগামী দিনে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। তবে শুধু শাড়ি নয়, এই ফাইবার বা তন্তু নানান কাজে লাগানো সম্ভব। অন্যদিকে এই কচুরিপানা সংগ্রহের ফলে বর্ষাকালে উপকৃত হবেন বহু মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে নদী এবং বিভিন্ন জলপথে যাতায়াত মাধ্যমের কর্মীরাও।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

Nadia

shantipur

handloom sarees

Kachuripana

water hyacinths

aquatic plant

recycling process

waste materials


আরও খবর


ছবিতে খবর