ধান বিক্রি না করেও গোঘাটের বহু চাষির অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে হাজার হাজার টাকা। সেই টাকা হাতিয়েছে যুব তৃণমূলের নেতা।
গোঘাট এলাকার ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পুকুর খনন না করেই ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূলের এক মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও ইতিমধ্যেই আদালত টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এবার সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রিতে দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়াল যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির আজিম রহমান খানের বিরুদ্ধে। তিনি গোঘাটের শ্যামবাজার অঞ্চলের যুব তৃণমূলের নেতা। গোঘাট- ২ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন খানের তিনি ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। সেই কারণে এলাকায় তাঁর দাপটও রয়েছে। অন্যের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ধান বিক্রির অভিযোগ। লক্ষ লক্ষ টাকা কারচুপির (Scam) অভিযোগ রয়েছে। প্রায় একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকার পরেই টাকা তুলে দিতে চাপ দিচ্ছে বলে ওই যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। শুধুমাত্র শাসক দলের প্রভাব খাটিয়েই তিনি এধরনের দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ। প্রশ্ন হল, এলাকার যাদের সামান্য জমি অথবা জমিই নেই, তাঁদের বিঘার পর বিঘা জমি দেখিয়ে কিভাবে হাজার হাজার টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকানো হল ? ইতিমধ্যেই অনেকেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। আরামবাগের মহকুমা শাসক সুভাশিনী -ই বলেন, ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাধারন মানুষের কথা ভেবে রাজ্য সরকার সি পি সি - র মাধ্যমে সরকারি সহায়ক মূল্যে প্রতিটি ব্লক থেকে ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুব তৃণমূলের দাপুটে নেতা হওয়ার সুবাদে এলাকার বহু সাধারণ মানুষের আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জমা নিয়েছে ওই নেতা। আর সেই অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে তৃণমূল নেতার কাছে টাকা পৌঁছে দিতে হয়েছে। এরকমভাবে গোঘাট এলাকায় ওই যুব তৃণমূল নেতা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান খাঁ বলেন, আমার দুকাঠা জমি রয়েছে। আমি সরকারের কাছে কোনও ধান বিক্রি করিনি। ওই তৃণমূল নেতা আমার কাছে থেকে আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে যায়। দুদফায় আমার অ্যাকাউন্টে ৯০ হাজার টাকা ঢুকেছে। সব টাকা যুব তৃণমূল নেতাকে আমি দিয়ে দিয়েছি। অন্য এক বাসিন্দা বলেন, আমি কোনও ধান বিক্রি করিনি। আমার অ্যাকাউন্টে ৬০ হাজার টাকা ঢুকেছে। সব টাকা তৃণমূল নেতাকে দিয়ে দিয়েছি। যদিও বিরোধী দলের চক্রান্তে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আজিম রহমান খানের। তিনি বলেন, আমি কোনও দুর্নীতি (Scam) করিনি। আমি সামান্য আলু ব্যবসায়ী। কাউকে আলু বীজ দিয়েছি। সে আমাকে টাকা দিয়েছে। সেটা নিয়ে বিরোধীরা আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
বিজেপির রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, গোটা রাজ্য জুড়েই দুর্নীতি (Scam) চলছে। এই দলে সবাই চোর। তাই, তৃণমূলের দুর্নীতি (Scam) নিয়ে নতুন করে আমার কিছু বলার নেই। সিপিএম নেতা বাবলু রায় বলেন, শুধু ধান নয়, ১০০ দিনের কাজেও তৃণমূল নেতারা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে। সব জায়গায় দুর্নীতি (Scam) করছে। আর এসব দুর্নীতির (Scam) টাকা যাচ্ছে কালীঘাটে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।