রাজ্যের ৯৮টি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে সোমবার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের কাউন্সেলিং ছিল
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল স্তরে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। পাশাপাশি কলেজে শিক্ষক নিয়োগেও (CSC) অনিয়মের অভিযোগ জোরালো হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সেই আবহের মধ্যেই অনিয়মের অভিযোগ উঠছে রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজগুলিতে অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়া ঘিরে। সিএসসি বা কলেজ সার্ভিস কমিশনের (CSC) তরফে অবশ্য অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের ৯৮টি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে সোমবার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের কাউন্সেলিং ছিল। গত ২৭ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলের ইন্টারভিউয়ে সফল ১৭২ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল কলেজ সার্ভিস কমিশন (CSC)। কিন্তু সোমবার কাউন্সেলিংয়ে কমিশনের তরফে অধ্যক্ষহীন কলেজের নাম দেখার জন্য কোনও ডিসপ্লে বা নোটিস বোর্ড ছিল না বলে অভিযোগ জানালেন প্রার্থীরা। পাশাপাশি নিয়োগ পরীক্ষায় কে কত পেয়েছেন সেই স্কোরও এদিন প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। এদিনই অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছে অধ্যাপকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ‘‘আমাদের কাছে এই বিষয়ে বহু অভিযোগ এসেছে। অধ্যক্ষ নিয়োগে স্বচ্ছতার অভাবের কথা জানিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে ইমেল করা হয়েছে।’’
প্রার্থীদের অভিযোগ, পরের র্যাঙ্কে থাকা প্রার্থীর জন্য নির্দিষ্ট কলেজ 'বুক' করে রাখা হয়েছিল। মেধাতালিকার প্রথম দিকে থাকা প্রার্থীদেরও পছন্দের কলেজ দিতে অস্বীকার করা হয়েছে। আবার, প্রার্থীদের র্যাঙ্ক অনুযায়ী, শূন্য পদ আগেই পূরণ হয়ে গিয়েছে বলেও জানানো হয়। এখানেও শেষ নয়। কাউকে বলা হয়, কলেজের নাম বাইরে বলবেন না। কাউকে বলা হয়েছে, গার্লস কলেজে পুরুষ অধ্যক্ষ নিয়োগ করা যাবে না। আবার অনেককে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানের শিক্ষিকার পছন্দের কলেজে শূন্য পদ নেই।
অধ্যক্ষ হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতামান হলো অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও ১৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকা। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হওয়ার আগে কোনও শিক্ষককে তিনটি যোগ্যতামান পেরোতে হতে হয়। বেসরকারি কলেজের ক্ষেত্রে এমন কোনও ব্যবস্থা নেই। তা হলে বেসরকারি কলেজে কর্মরত প্রার্থীরা ইউজিসির বিধি অনুযায়ী ন্যূনতম যোগ্যতামান অর্জন করলেন কী ভাবে, সে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক প্রার্থী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Tags: