মধ্যপ্রদেশে প্রযুক্তির অপব্যবহার! হাড়হিম করা ঘটনা সামনে এল
প্রতীকী চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রযুক্তি কখনও আশীর্বাদ, আবার কখনও অভিশাপ। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অপরাধ করার আরও একটি নৃশংস ঘটনা সামনে এসেছে মধ্যপ্রদেশে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে গলার স্বর (Voice Changing App) বদলে নিজেকে শিক্ষিকা পরিচয় দিয়ে সাতজন ছাত্রীকে ধর্ষণ করার হাড়হিম করে ঘটনা সামনে এসেছে। অভিযুক্ত ব্রজেশ প্রজাপতি ও তাঁর তিন সাগরেদ সন্দীপ প্রজাপতি, রাহুল প্রজাপতি এবং লভকুশ প্রজাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে ব্রজেশ ভয়েস চেঞ্জিং অ্যাপের ব্যবহার করত। মূলত কলেজ ও হাইস্কুলের ছাত্রীদের টার্গেত করত। গলার স্বর বদলে নিজেকে কলেজের শিক্ষিকা পরিচয় দিয়ে ছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সাঙ্গপাঙ্গ সহ ধর্ষণ চালাত। এভাবে সে সাত জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে। মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলায় এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। নির্জন জায়গায় ছাত্রীদের ডেকে ওই অভিযুক্ত সেখান থেকে মোটরবাইকে করে শিক্ষিকার বাড়িতে নিয়ে আসার গল্প ফেঁদে ছাত্রীদের নিজের গোপন ঠিকানায় নিয়ে গিয়ে পাশবিক অত্যাচার চালাত।
জানা গিয়েছে অপকর্ম করার দিন ওই যুবক হেলমেট এবং গ্লাভস পড়ে থাকত। কারখানায় কাজ করার সময় বহু আগে ওই যুবকের হাত পুড়ে যায়। তারপর থেকে সে সবসময় গ্লাভস পড়ে থাকত। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বৃজেশ প্রজাপতি ছাড়াও আরও তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তর মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এই ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। মাঝৌলি থানার ইনচার্জ এবং সিটের সদস্য দীপক বাঘেল জানিয়েছেন, ৪ আদিবাসী মহিলা ছাড়াও আরও তিনজনকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন : রাজস্থানে তাপমাত্রার হাফ সেঞ্চুরি! ৭২ ঘন্টায় তাপের বলি ২৫ জন
মোট সাতজন নিগৃহীতার বয়ান রেকর্ড করবে পুলিশ। যে বাড়িতে ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে গিয়ে অপরাধ করা হত সেই বাড়িটি বুলডোজার দিয়ে ইতিমধ্যেই গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। আরও জানা গেছে এক নিগৃহীতা পুলিশকে ফোন করে তাঁর সঙ্গে গলার স্বর বদলে (Voice Changing App) ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কীভাবে নিপীড়ন চালানো হয়েছে তা জানায়। এরপরই পুলিশ অ্যাকশনে নামে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।