পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও মামলার ধারা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তদন্তে রাজ্য মহিলা কমিশন। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলাদেশি ছাত্রীর সঙ্গে সহবাস (Live Together) এবং দিনের পর দিন শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ। আর এমন গুরুতর অভিযোগ যার-তার বিরুদ্ধে নয়, বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও, মামলার ধারা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যার ফলে অনায়াসে জামিনে মুক্ত হয়ে যান অভিযুক্ত অধ্যাপক। চরম নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশ হাই কমিশনারের দ্বারস্থ নির্যাতিতা। শনিবার ঘটনার তদন্তে দুর্গাপুরে সরকারি হস্টেলে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করল রাজ্য মহিলা কমিশন।
ঘটনায় জানা গেছে, বাংলাদেশের ওই অভিযোগকারিণী আসানসোল কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তাঁর সঙ্গে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের আজাজুল আলি খান নামে অধ্যাপকের প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ, অভিযুক্ত অধ্যাপক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকমাস সহবাস (Live Together) ও শারীরিক নিগ্রহ করেন। গত মার্চ মাসের শেষের দিকে ওই ছাত্রীর সঙ্গে দূরত্ব শুরু করেন অধ্যাপক। এবং অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত আছেন বলে ছাত্রীটিকে জানিয়ে দেন। আর তাতেই ভেঙে পড়েন ছাত্রীটি। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ওই নির্যাতিতা ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আসানসোল মহিলা থানার পুলিশকে এই বিষয়ে অবগত করেন। কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। শেষমেশ বিচারের জন্য ছাত্রীটি বাংলাদেশ হাই কমিশনারের দ্বারস্থ হন। এবং দুর্গাপুর মহিলা থানায় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই নির্যাতিত ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা হয় এবং অভিযুক্ত অধ্যাপক গ্রেফতারও হয়।
কিন্তু, গ্রেফতার হয়েও জামিনে ছাড়া পেয়ে যান তিনি। এদিকে শনিবার ঘটনার (Live Together) তদন্তে দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে হস্টেলে ছাত্রীটির সঙ্গে দেখা করতে আসেন রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। মহিলা কমিশনের পক্ষে দেবযানী চক্রবর্তী জানান, "মেয়েটির সঙ্গে কথা হয়েছে। অভিযোগ শুনেছি। ঘটনায় মেয়েটি প্রমাণস্বরূপ যা কিছু জমা করেছে, সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ কোন ধারায় মামলা করেছে, কোন ধারায় গ্রেফতার হল, জামিনে কেন ছাড়া পেল সবই রিপোর্ট চেয়েছি। আরও কোন ধারায় মামলা দেওয়া ও গ্রেফতার করা যায়, সেসব দেখা হচ্ছে। পুলিশ সর্বক্ষণ নিরাপত্তায় রয়েছে। অভিযুক্ত যাতে শাস্তি পায়, মেয়েটি যাতে বিচার পায় তার চেষ্টা চলছে।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।