Kanchrapara: দুদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে মেয়ের! পাশে শুয়ে বাবা আগলে রাখছেন দেহ!...
মৃত দেহ উদ্ধারে বীজপুর পুলিশ। নিজেস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া এবার কাঁচরাপাড়ার বুকে। দুদিন আগে মৃত হয়েছেন মেয়ে, এবার সেই মেয়েকে আগলে ধরে তাঁর বাবা পাশে শুয়ে থাকার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বীজপুর থানার অন্তর্গত বিনোদনগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে। খবর জানাজানি হতেই পুলিশ পৌঁছায় বাড়িতে, এরপর দেহ উদ্ধার করা হয়।
বীজপুর North 24 Parganas) থানার এই ওয়ার্ডে স্থানীয় বাসিন্দা নিতাই কুন্ডুর মেয়ে ছত্রিশ বছরের টুম্পা কুন্ডু দুদিন আগেই বাড়িতে মারা গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ঠিক তারপরেও দাহ না করে মেয়েকে আগলে পড়েছিলেন বাবা। প্রতিবেশীরা, বাড়ির থেকে পচা দুর্গন্ধ পেয়ে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসা করলেও তা এড়িয়ে যান সকলে। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর শম্ভুনাথ ঘোষ এসে পৌঁছান। এরপর খবর দেওয়া হয় বিজপুর থানায়। তারপরে বীজপুর থানার পুলিশ এসে দুদিন আগেই মৃত টুম্পা কুন্ডুর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে বাবা নিতাই কুন্ডুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। কিন্তু কী ভাবে টুম্পা কুন্ডুর মৃত্যু হয়েছে? এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বীজপুর থানার পুলিশ।
পাশের বাড়ির (North 24 Parganas) এক বাসিন্দা বাণী সরকার বলেছেন, “আমরা মেয়েটির শব্দ না পেয়ে ভেবেছিলাম কিছু একটা ঘটনা ঘটেছে! কিন্তু এতও দুর্গন্ধ কেন! নিশ্চই কুন্ডুর মেয়ে মারা গেছে। এরপর বাড়ির লোকজনকে বললেও কেউ সঠিক ভাবে উত্তর দেয়নি। শেষে আমরা পুলিশকে খবর দিলে মেয়ের মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হই।”
আরও পড়ুনঃশনি-রবি শিয়ালদা উত্তর-দক্ষিণ শাখায় চলবে মেরামতির কাজ, বাতিল একাধিক লোকাল ট্রেন
স্থানীয় (North 24 Parganas) জনপ্রতিনিধি কাউন্সিলর শম্ভুনাথ ঘোষ বলেন, “আমি খবর পেয়ে এই বাড়িতে এসেছি। গত দুদিন আগে মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মৃত দেহকে সঙ্গে নিয়েই বসে ছিলেন বাবা নিতাইবাবু। প্রতিবেশীরা বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান। দুর্গন্ধ সম্পর্কে মৃতার মামাকে জিজ্ঞাসা করলে কেউ মুখ খুলতে চাননি। কিন্তু দুর্গন্ধ আরও মারাত্মক হয়ে উঠলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার করা হয় এবং নিতাইবাবুকে মানসিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতলে পাঠানো হয়।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।