'তৃণমূলকে ভোট দেয় না বলেই হামলা', জয়নগরে গিয়ে বললেন শুভেন্দু
জয়নগরের দলুইখাঁকি গ্রামে শুভেন্দু অধিকারী (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে নানা টানাপোড়েন চলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের এই দলুয়াখাঁকি গ্রামে। ১৩ নভেম্বর তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হন। এই ঘটনার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে আটকে দেওয়া হয়েছে গ্রামের অনেক আগেই। অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রামে ত্রাণ নিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি মিলল। বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো নাগাদ দলুয়াখাঁকি গ্রামে পৌঁছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি গ্রামবাসীদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যান। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি আর্থিক সাহায্য করা হয় গ্রামবাসীদের। গ্রামের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। যারা গ্রামে অসুস্থ রয়েছেন, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থার পাশাপাশি যাদেরকে ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদেরও জামিনের ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,' মুসলিমদের ভোট ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হওয়া আপনার বাপের সাধ্যি ছিল না। সেই মুসলমানদের এই প্রতিদান দিলেন। তৃণমূলকে ভোট দেয় না বলে এদের ওপর হামলা হয়েছে। বগটুইয়ের মতো পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয়েছে দলুয়াখাঁকিতে। দিল্লি যাওয়ার আগে জয়নগরে একবার ঘুরে যান না। আপনি বগটুইতে পুড়িয়েছেন মুসলমানদের। আর এখানে মুসলমানদের বাড়ি পুড়িয়েছেন। বগটুইয়ের মতো পরিকল্পিত হামলা হয়েছে, নাহলে পেট্রল আর হাতুড়ি এল কোথায় থেকে। এই গ্রামের মানুষজন বিরোধী দল করেন বলেই পরিকল্পিতভাবে গ্রামের উপরে হামলা চালানো হয়েছে।'
বিরোধী দলনেতার আগে এদিন সকালে সিপিএমের প্রতিনিধি দল গ্রামে ত্রাণ নিয়ে যান। ঘর তৈরির জন্য বাঁশ টিন থেকে শুরু করে অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন গ্রামবাসীদের হাতে। সেই প্রতিনিধি ছিলেন সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত সিপিএম নেতৃত্ব। যদিও সিপিএমের প্রতিনিধি দল গ্রামের প্রবেশ করার মুখে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান। পাঁচজনের বেশি মানুষ গ্রামে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে পুলিশের তরফ থেকে জানিয়ে দিলে দু পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। শেষ পর্যন্ত সিপিএমের তরফ থেকে ত্রাণ নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করা হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।