Sandeshkhali: শাহজাহান-রোহিঙ্গা যোগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দিলীপ...
বাঁ দিকে শেখ শাহজাহান এবং ডান দিকে দিলীপ ঘোষ। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান (Seikh Shahjahan) রোহিঙ্গাদের (Rohingya) নিয়ে এসে ক্যাম্প তৈরি করেছিলেন। সেই ক্যাম্পের খরচ দিত জেলা পরিষদ। বিষ্ফোরক অভিযোগ বিজেপির বর্ধমান দুর্গাপুরের প্রার্থী দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। শেষ দফায় ১ জুন বসিরহাটে (Basirhat) নির্বাচন হবে। দেশ জুড়ে নির্বাচন চলাকালীন সন্দেশখালি (Sheikh Shahjahan Sandeshkhali) থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ফের জাতীয় রাজনীতির ইস্যু হয়ে গিয়েছে সন্দেশখালি। দেশি, বিদেশি পিস্তল উদ্ধার সহ একশোর বেশি রাউন্ড গুলি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই (CBI)। উদ্ধার হয়েছে বিষ্ফোরক। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। নামাতে হয়েছে এনএসজি (NSG) কমান্ডো। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক অস্ত্রপাচারের যোগের অভিযোগ করেছে বিজেপি।
দিলীপ ঘোষ বলেন, “সীমান্তবর্তী এলাকা যদি অস্ত্রের আড়তে পরিণত হয়, তাহলে দেশের সুরক্ষা কোথায়? যারা ইডির উপর হামলা চালিয়েছিল তারা প্রত্যেকে সন্ত্রাসবাদি। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত তল্লাশি চালিয়ে প্রত্যেককে জেলে ভরা। শেখ শাহজাহান (Seikh Shahjahan) রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসে ওখানে ক্যাম্প তৈরি করেছিল। সেই ক্যাম্পের খরচ চালাত ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ। ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের পাঠানো হত সারা ভারতের নানান প্রান্তে।”
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারকদের উপর হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্তে সন্দেশখালিতে গিয়ে শেখ শাহজাহানের (Seikh Shahjahan) বাড়ির ৫০০ মিটার দূরের একটি বাড়ি থেকে বিপুল অস্ত্র ভান্ডার বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই। বিরোধীদের প্রশ্ন সিবিআই এখানে অস্ত্রের হদিশ পায়। অথচ পুলিশ কেন পায় না। পুলিশের বিরুদ্ধে আগেও উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে। শাহজাহান ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে উল্টে তাদের কাছেই আলাপ আলোচনার জন্য নাকি পাঠিয়ে দিত পুলিশ। সেই অভিযোগে নতুন অধ্যায় জুড়ল সন্দেশখালি থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার। এমনকি এই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ইন্টেলিজেন্স ফেলিওরের তত্ত্ব এনেছেন খোদ রাজ্যের তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। শেখ শাহজাহানের সাগরেদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্রভাণ্ডার। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার আধার কার্ড, প্যান কার্ড, আগ্নেয়াস্ত্র কেনার লাইসেন্স ও কার্তুজ কেনার বিল সহ আরও বহু নথি।
বিরোধী দলের নেতাদের প্রশ্ন সন্দেশখালিতে এত অস্ত্র এল কোথা থেকে? কারা আনল, কী কারণে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ওই বাড়িতে? ওই অস্ত্র কী ভোটের সময় সন্ত্রাসের জন্য মজুত করা হয়েছিল? এই অস্ত্রের জোরেই কি ইডির উপর হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছিল দুষ্কৃতীরা? একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। সন্দেশখালির মাস্টার মাইন্ড শেখ শাহজাহানের (Seikh Shahjahan) সঙ্গে এই অস্ত্রের যোগ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Seikh Shahjahan) এক্ষেত্রে বলেছেন, “যদি মিনাখাঁতে যান আইয়ুব গাজীর বাড়ি থেকে অস্ত্র পাবেন। জীবনতলায় যান শওকত মোল্লার ডেরা থেকে অস্ত্র পাবেন। বাসন্তীতে গেলে রাজা গাজীর ডেরা থেকে অস্ত্র পাবেন।” যে কটি নাম বলেছেন বিরোধী দলনেতা সকলেই নিজ-নিজ এলাকায় শাসকদলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।
আরও পড়ুন: শাহজাহানগড়ে অস্ত্রভান্ডারে মিলল পুলিশের রিভলভার, শোরগোল
যদিও কুনাল ঘোষ এর বক্তব্য এই অস্ত্র সিবিআই রেখে দিয়ে আই ওয়াশ করা তদন্ত করেছে। পুলিশের আগে থেকে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। পুলিশের ইন্টেলিজেন্স কি করছিল। কেউ অস্ত্র রেখে রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা করছে কিনা সেটা পুলিশের নজরদারি রাখা উচিত ছিল। অস্ত্র পাওয়া গেলে পুলিশের ভূমিকা ওতো অবশ্যই প্রশ্নের মুখে পড়বে। রাজনৈতিক কারণে শুভ কুনাল ঘোষ যাই বলুন না কেন ইন্টেলিজেন্স ফেললিয়নের কথা তিনি ঘুরিয়ে স্বীকার করে নিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।