ইডির বিপক্ষে আদালতে চিঠি দিয়ে বাঁচার নতুন কৌশলে শাহজাহান...
তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একবার শিরোনামে শেখ শাহজাহান (sheikh shahjahan)। এবার খোদ ইডির (ED) বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সোজা আদালতে চিঠি দিলেন সন্দেশখালির (sandeshkhali) এই ত্রাস। ইডির হেফাজতে ‘জোর করে’ বয়ান লেখানো হয়েছে তাঁকে, এই মর্মেই অভিযোগ তুলে আদালতে আবেদন জানালেন তাঁর আইনজীবী। তবে এ প্রসঙ্গে ইডির আইনজীবীরা আদালতে দাবি করে বলেন, "এই চিঠি শাহজাহানের লেখা নয়, তাঁর আর্জির চিঠিকে কোনও ভাবেই যেন আদালতের রেকর্ডে না রাখা হয়। এই চিঠি গৃহীত হলে এতদিন শাহজাহান যে বয়ান দিয়েছেন, তার আর গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না।"
উল্লেখ্য সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ একই ভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে চিঠি দিয়েছিলেন। এবার তদন্ত থেকে বাঁচার জন্য শেখ শাহজাহান কি একই রাস্তা অবলম্বন করছেন? কার্যত নয়া ফন্দি!
প্রসঙ্গত, শনিবারই শেষ হয় শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ইডি হেফাজতের মেয়াদ। তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে (bankshall court) তোলা হলে প্রশ্ন-উত্তর চলাকালীনই তাঁর আইনজীবী প্রকাশ্যে আনেন শাহজাহানের লেখা ওই চিঠির প্রসঙ্গ। আদালত কক্ষেই পড়ে শোনানো হয় সেই চিঠি। চিঠির বয়ান শুনেই কার্যত শোরগোল পড়ে যায় আদালত কক্ষে।
শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) লেখা চিঠিতে যা ছিল তা হল, “গত ১ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকাকালীন আমাকে দিয়ে মিথ্যা বয়ান রেকর্ড করানো হয়েছে। একই ভাবে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। পছন্দের বয়ান না দিলে আমি, আমার ভাই এবং আত্মীয়দের মাদক মামলায়, জড়িয়ে দেওয়া হবে।”
এরপরেই চিঠির বয়ান নিয়ে ইডির আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন আদালতে। ওই চিঠি আদৌ শাহজাহানের (sheikh shahjahan) লেখা কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এই চিঠি কি আবেদন পত্র? তা নিয়েও সওয়াল করেন ইডির আইনজীবীরা। একই ভাবে শাহজাহানের এই চিঠির আবেদন পদ্ধতি এবং বক্তব্যের বিরোধিতা করা হয়। শেষ পর্যন্ত আদালতের তরফ থেকে জানানো হয় চিঠি গ্রহণ করা হলেও ইডির স্পেশাল কোর্টে আগামী ১৫ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: "বাংলা হচ্ছে জঙ্গিদের সেফ করিডর", বিস্ফোরক দিলীপ
উল্লেখ্য, এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বলাগড়ের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ এবং রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত শঙ্কর আঢ্যও একই ভাবে চিঠি লিখে অভিযোগ তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে। রাজনীতির একাংশের মানুষ অবশ্য মনে করছেন, ধৃত তৃণমূল নেতা তদন্ত থেকে বাঁচার জন্য তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বাঁচার কৌশল করছেন। এখন শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) তদন্ত আগামী দিনে কোন পথে এগিয়ে যায় তাই দেখার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।