Santipur: নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেলেন শান্তিপুরের এক বাসিন্দা, কী বললেন?
নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে বিজেপি প্রার্থীকে মিষ্টি মুখ করাচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ সরকার (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদিজির ভাষণ শুনে ভরসা করে কিছুদিন আগে সিএএ (CAA) পোর্টালে আবেদন করেছিলেন নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের আরবান্দি দু'নম্বর পঞ্চায়েতের আরপাড়া গ্রামের শ্রীকৃষ্ণ সরকার। নাগরিকত্বের শংসাপত্র তিনি হাতে পেয়েছেন। আর শংসাপত্র হাতে পেয়ে তিনি বেজায় খুশি। নিজে হাতে মিষ্টি বিলি করলেন প্রতিবেশীদের।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীকৃষ্ণবাবুর বয়স বর্তমানে ষাটের কাছাকাছি। প্রায় ৫০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে মায়ের হাত ধরে দুই ভাই এবং এক বোনকে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণবাবু ভারতে এসেছিলেন। মুসলিমদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তাঁরা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হন। শান্তিপুরে বাড়ি এবং চাষবাসের জন্য কিছুটা জমি কিনে তাঁরা বসবাস করতে শুরু করেন। পরে, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড সব পরিচয়পত্র হয় তাঁদের। সম্প্রতি নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর তাঁরা যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় ছিলেন। ভরসা রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর। অনলাইন পোর্টালে আবেদনের মাত্র এক মাসের মধ্যেই হাতে পেয়ে গেলেন নাগরিকত্বের শংসাপত্র। শংসাপত্র (CAA) হাতে পেয়ে সরকার পরিবারের পক্ষ থেকে একই এলাকায় বাড়ি প্রাক্তন সাংসদ এবং বর্তমান রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার সহ আরএসএস এবং বিজেপি কর্মকর্তা সহ সকল নাগরিকদের মিষ্টি বিলি করা হয়।
শ্রীকৃষ্ণবাবু বলেন, নিজে আবেদন করে দেখে নিলাম কোনও আইনি সমস্যা বা দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি আছে কিনা। ১৭ মে আবেদন করেছিলাম। এত অল্প সময়ের মধ্যে আমি শংসাপত্র (CAA) হাতে পাব তা আশা করিনি। এটা অত্যন্ত সহজ এবং আইনি কোনও জটিলতা নেই। সকলকে আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারকে সহযোগিতা করার পরামর্শ দেব। কারণ, এই মোদি সরকার কখনও তার নাগরিকদের সমস্যায় ফেলবে না। তবে, যে দেশে বাস করব সেই দেশের অনুমতি সহ থাকাই নিরাপদ। মোদি সরকারের জন্য এই দেশে মাথা উঁচু করে এবার বাঁচব।
বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, আফগানিস্তান পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা নাগরিকদের খুব সহজ পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় সরকার এই নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু করেছে। যা অতীতে কোনও রাজনৈতিক দল করতে পারেনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।