Court: শিলিগুড়িতে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার এক বছরের মধ্যে বড় রায় দিল আদালত..
শিলিগুড়ি আদালত চত্বর, সাজা ঘোষণার পর সাজাপ্রাপক মহম্মদ আব্বাস (ইনসেটে) (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) মাটিগাড়ায় নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা দিল দার্জিলিং জেলা আদালত। ঠিক এক বছর ১৪ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা করা হল। শনিবার শিলিগুড়ির অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের বিচারক অনিতা মেহেত্রা মাথুর এই সাজা ঘোষণা করেন। পক্সো আইনে মামলা হয়েছিল। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। শনিবার সাজা শোনার জন্য মৃতার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা আদালতে হাজির হয়েছিলেন। অপরাধীকে পুলিশ আদালতে নিয়ে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।
আদালত (Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে একদিন বিকেলের দিকে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথে মহম্মদ আব্বাস নামে এক যুবক তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। তাকে মাটিগাড়ার (Siliguri) জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ওই মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতাকে যাতে চেনা না যায়, সে জন্য ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল তার মুখ। ওই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার পর পরই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ রাজু বিস্তা, স্থানীয় বিধায়ক আনন্দ বর্মন সহ দলীয় নেতৃত্ব নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনকী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে দোষীর শাস্তি হওয়ার আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: চিনা রাষ্ট্রদূতের মুখে জামাত প্রশস্তি, বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা বেজিংয়ের!
খুনের মামলায় একাধিক সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত (Siliguri)। অবশেষে সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে আব্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন ঘটনার নজির তুলে ধরে অপরাধীর ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করেন। অন্যদিকে, অপরাধীর আইনজীবী বুলা রায় জানান, তাঁর মক্কেলের বাড়িতে বৃদ্ধা মা রয়েছেন। তাঁর পরিবারের কথা ভেবে ফাঁসির আবেদন বিবেচনা করার আর্জি রাখেন তিনি। আব্বাসের বিরুদ্ধে ওঠা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয় বৃহস্পতিবারই। এরপরই শনিবার বিচারক ফাঁসির রায় দেন। সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, "খুব গুরুত্ব সহকারে প্রতিটি হাজিরায় আদালতে বোঝাবার চেষ্টা করেছি যে, এটা অন্যান্য মামলার তুলনায় ভিন্ন একটি মামলা। এই মামলায় দোষীর ফাঁসি হওয়া উচিত। আমরা ফাঁসির আবেদন জানিয়েছিলাম। আদালত মূলত দুটি বিষয়েব ওপর নজর দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিল। প্রথমত খুন এবং দ্বিতীয়ত নাবালিকাকে ধর্ষণ।"
সাজা ঘোষণার পরে নির্যাতিতার মা বলেন, "আদালতের এই রায়ে আমরা খুশি। আমার মেয়ে শান্তি পাবে। ওই লোকটির (দোষী) দু'জন স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছেন। তার পরেও এমন কাজ! ওর ফাঁসিই হওয়া উচিত। প্রথম থেকেই মাটিগাড়া থানা এবং আদালতের উপর আমাদের ভরসা ছিল। সেই ভরসাই আমার মেয়েকে আজ বিচার পাইয়ে দিল।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।