মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাতায়-কলমে শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূলের (TMC) সাংসদ। কিন্তু দলীয় হুইপকে অগ্রাহ্য করে পিতা-পুত্র রবিবার হাজির ছিলেন নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। প্রসঙ্গত, নয়া ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুর পাল্টা প্রার্থী হিসেবে যশবন্ত সিনহাকে খাড়া করে তৃণমূল। এবার সেই দ্রৌপদী মুর্মুকে দিয়ে সংসদ ভবন উদ্বোধন কেন করানো হবে না? এই প্রশ্নে নয়া ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করে তারা। তৃণমূলের (TMC) সমস্ত সাংসদ এদিন গরহাজির থাকলেও উপস্থিত ছিলেন কাঁথি ও তমলুকের সাংসদ।
আরও পড়ুন: বড়ঞায় মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার সময় দলীয় কর্মীকে বোমা মেরে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল
মোদির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন পিতা ও পুত্র
অন্দরের খবর, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তবে দলীয় হুইপ অমান্য করা এই প্রথম নয়, গত বছরের জুলাই মাসে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তখনও দলের কোনও সাংসদ বা বিধায়ককে ভোট দিতে দেখা যায়নি। কিন্তু সেই নির্দেশ না মেনে পিতা-পুত্র দুজনেই জগদীপ ধনকড়কে ভোট দিয়েছিলেন। আবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের অধিকাংশ সাংসদ এবং বিধায়ক যখন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ভোট দিয়েছিলেন, তখন শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী দিল্লি গিয়ে লোকসভায় ভোট দিয়ে এসেছিলেন।
দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে ২০২০ সাল থেকেই
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকেই শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে তৃণমূল কংগ্রেসের। একাধিকবার পুলিশ তলব করে দিব্যেন্দু অধিকারীকে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নেও সরব হতে দেখা যায় শিশির-দিব্যেন্দুকে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে শিশির অধিকারী কাঁথির সংসদ সদস্য। পরপর তিনবার তিনি ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে, দিব্যেন্দু অধিকারী ২০১৬ উপনির্বাচনে জিতে পরপর দুবার তমলুক থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours