img

Follow us on

Wednesday, Oct 30, 2024

Dakshin Dinajpur: অনুমোদন মেলেনি ৬টি বিএড কলেজের! ভর্তি হয়ে বিপাকে পড়়ুয়ারা

'বিএড কলেজের অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে', সরব বঞ্চিত কলেজ কর্তৃপক্ষ

img

বিএড কলেজ (নিজস্ব চিত্র)

  2023-11-18 13:49:28

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গাইডলাইন মেনে চলার প্রক্রিয়া পূরণ করতে পারেনি। ফলে চলতি বর্ষে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ছয়টি বিএড কলেজ ছাত্র ভর্তি নেওয়ার অনুমোদন পেল না। এদিকে আগেই ওই কলেজগুলি অফলাইনে ভর্তি নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু অনুমোদন না মেলায় অনলাইনে ভর্তি হতে পারেনি পড়ুয়ারা। দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলায় ছয়টি কলেজে সবমিলিয়ে ৪০০ আসন রয়েছে। কলেজ সূত্রে খবর, সব আসনেই ভর্তি করে ফেলেছে কলেজগুলি। এখন ওই পড়ুয়ারা অন্য কলেজেও ভর্তি হতে পারছে না। ফলে, একবছর নষ্টের পথে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ। যা নিয়ে ক্ষুদ্ধ পড়ুয়ারা। এনিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে পড়ুয়ারা। এদিকে ক্ষুদ্ধ কলেজ কর্তৃপক্ষরাও। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন।

তালিকায় কোন কোন কলেজ রয়েছে? (Dakshin Dinajpur)

দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলায় ১৭ টি বিএড কলেজ রয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ১২০০ সিট রয়েছে। এই কলেজগুলি বর্তমানে বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটির অধীনে রয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে ওই কলেজগুলি ছাত্র শিক্ষক সমানুপাত, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, ডাইরেক্ট ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার সহ নানা নির্দেশ ছিল। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুমোদন না মেলার তালিকায় এই জেলার ছয়টি কলেজ রয়েছে। যেগুলি হল, বালুরঘাট ব্লকের তেভাগা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, তপনের বলিপুকুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, গঙ্গারামপুরের ফান্ডামেন্টাল ইন্সটিটিউট অফ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, কুশমন্ডির আজাদ ডিএড ট্রেনিং কলেজ, বুনিয়াদপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এবং ফুলবাড়ির দক্ষিণ দিনাজপুর বিএড কলেজ। ওই কলেজগুলিতে মোট ৪০০টি আসন রয়েছে। এই ছয় কলেজের বেশিরভাগ গুলিতে ছাত্র শিক্ষক সমানুপাত ঠিক নয় বলেই জানা গিয়েছে। তাই এই বছর ছাত্র ভর্তির অনুমোদন মেলেনি।

অনুমোদন না পাওয়া কলেজ কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

বালুরঘাটের তেভাগা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের কর্ণধার অক্ষয় বর্মন বলেন, যে সমস্ত সরকারি গাইডলাইন মেনে চলতে বলা হয়েছিল। তার প্রায় সবই পূরণ করেছি। শিক্ষকের অভাব পূরণ করার জন্য নিয়োগের সময়সীমাও দেওয়া হয়নি। তাই আমাকে অনুমোদন দেওয়া হল না। অথচ অন্য কলেজগুলিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাই আমার মনে হচ্ছে অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। আমি এনিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।

পড়ুয়াদের কী বক্তব্য?

এবিষয়ে বালুরঘাটের দুই পড়ুয়া চন্দন কর্মকার ও রাখি বর্মন বলেন, আমরা এই কলেজগুকিতে অফলাইনে ভর্তি হয়ে বিপাকে পড়েছি। এখন অন্য কলেজেও আসন নেই। ফলে আমরা খুব সমস্যায় পড়েছি। একবছর আমাদের পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেল।

বিএড কলেজ সংগঠনের কর্মকর্তারা কী বললেন?

এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) বিএড কলেজ ঐক্যমঞ্চ সংগঠনের সম্পাদক সুদীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমরা সংগঠনের তরফ থেকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করছি, যাতে সকলেই অনুমোদন পায়। অনুমোদন পাওয়ার বিষয়ে ঘুষের বিষয়টি আমি বলতে পারব না।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

West Bengal

bangla news

Bengali news

Dakshin Dinajpur

student

bed college


আরও খবর


ছবিতে খবর