গেটের ভিতর থেকে বিজেপি বিধায়করা চাকরিপ্রার্থীদের সমর্থনে গলা ফাটাতে থাকেন...
বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরা (সংগৃহীত চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিড স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেলের গেটের সামনে বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরা (SLST 2016)। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে স্কুলের চাকরিপ্রার্থীদের এই অবস্থান বিক্ষোভ সরাতে আসে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় চাকরিপ্রার্থীদের। চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভকে যুক্তিসঙ্গত দাবি করে গেটের ভিতরে তখন বিজেপি বিধায়করাও গলা ফাটাতে থাকেন। বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ এই বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কিডস চত্বর। শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বিক্ষোভস্থলে এসে বলেন, ‘‘শুভেন্দু দার সঙ্গে আলোচনা করে, আজকের বিক্ষোভও আমরা তুলে ধরব বিধানসভার ভিতরে।’’ পুলিশ বিক্ষোভ তুলতে এলে শঙ্কর ঘোষ তাতে বাধা দেওয়ার চেষ্টাও করেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, মহিলা পুলিশ ছাড়া, মহিলা আন্দোলনকারীদের গায়ে যেন হাত না দেওয়া হয়। ততক্ষণে গেটের ভিতরে থাকা বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে থেকে নিলাদ্রী শেখর দানা এবং অনুপ সাহা পুলিশে কাজের বিরোধিতা করতে থাকেন। নিলাদ্রী শেখর দানা বলেন, ‘‘এই ভাবে টানা হেঁচড়া করবেন না। ওদেরও (SLST 2016) গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। এঁরা আমাদের বাড়ির মেয়ে। এরা পশ্চিবঙ্গের মেয়ে। ওঁদের অনুরোধ করে তুলুন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই নিয়ে আজ বিধানসভায় তুলকালাম হবে। বিজেপি বিধায়করা তো চাকরি বেচেনি। আমরা কেন অবরুদ্ধ হব? এই সরকারকে জবাব দিতে হবে । মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে।’’
চাকরিপ্রার্থীরা (SLST 2016) এদিন দাবি করেন, বিধানসভার অধিবেশন চলছে। সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হচ্ছে। অথচ তাঁরা প্রায় ৯০০ দিন ধরে ‘প্রাপ্য’ চাকরির দাবিতে পথে বসে আন্দোলনের প্রসঙ্গ উঠছে না। জন প্রতিনিধিদের কাছে তাই এদিন ‘অবিচারের’ জবাব চাইতেই তাঁদের আসা। বেলা ১১টা নাগাদ পুলিশ চ্যাঙদোলা করে বিক্ষোভকারীদের প্রিজম ভ্যানে তুলতে থাকে। প্রিজম ভ্যান ভর্তি হয়ে গেলে আনতে হয় বাস। মহিলা চাকরি প্রার্থীদেরও এদিন টেনেহিঁচড়ে তুলতে দেখা যায় পুলিশকে।
বুধবারের সকাল থেকেই কিড স্ট্রিটে এমএলএ হস্টেলের সামনে শুরু হয় ওই বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ে বিধানসভার অন্দরে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন, ‘‘এমএলএ হস্টেলের সামনে বিক্ষোভ হচ্ছে, সেই জন্য এমএলএ, মন্ত্রীরা আটকে পড়েছেন। বলার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু, এ ভাবে স্তব্ধ করে দিয়ে আন্দোলন করা ঠিক নয়। আমি প্রশাসনকে বলেছি বিষয়টা দেখতে।’’ শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এপ্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘এমএলএ হস্টেলের সামনে চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ সরকারি সহায়তা মিলছে না। ইদানীং কিছু রাজনৈতিক নেতা দলের কর্মীদের বাড়ি ঘেরাওয়ের নিদান দিচ্ছেন । আজ দেখলাম, আমাদের বিধায়কদের কী অবস্থা! স্পিকারের কাছে অনুরোধ, এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের (SLST 2016) কথা শোনা হোক। আর রাজনৈতিক নেতারাও যাতে ভবিষ্যতে এমন মন্তব্য না-করেন, সেটাও দেখুন।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।