img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Snakes: ঘরে মাটির কলসিতে রাখা কেউটে, গোখরো, চন্দ্রবোড়া! সাপের বিষ পাচারের হদিশ পূর্ব মেদিনীপুরে

East Medinipur: সাপের বিষ পাচারের বড় চক্র ফাঁস! চাঞ্চল্য পূর্ব মেদিনীপুরে…

img

সাপ। প্রতীকী চিত্র।

  2024-07-12 14:55:46

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাপ (Snakes) এবং সাপের বিষ পাচারের কয়েক কোটি টাকার চোরাকারবারের খোঁজ মিলেছে তদন্তকারী অফিসারদের হাতে। পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর ব্লকের গাজীপুর ও দামোদরপুর গ্রামের বেশকিছু বাড়িতে, জেলার বনবিভাগের বাজকুল রেঞ্জের অফিসারেরা হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ সাপের হদিশ পেয়েছেন। এই উদ্ধারের কাজে বিশেষ ভাবে সাহায্য করেছে জীববৈচিত্র সংরক্ষণ মঞ্চ নামে এক সংগঠন। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

কোটি টাকার সাপ ও সাপের বিষ উদ্ধার (Snakes)!

ঘরের মধ্যে মাটির কলসি, ট্রাঙ্ক ও ঝুপির মধ্যে রাখা অসংখ্য বিষধর সাপ! কেউটে, গোখরো, চন্দ্রবোড়া সব মিলিয়ে গোটা পঁচিশ হবে। ঘরেই সাপের খাবারের মধ্যে রাখা রয়েছে ল্যাটা মাছ, ব্যাঙ ইত্যাদি। এই সাপ উদ্ধারের ফলে কয়েক কোটি টাকার সাপ ও সাপের (Snakes) বিষ পাচারের বেআইনি কারবারের কথা উঠে এসেছে। একাধিক রাজ্যে এই পাচারের জাল ছড়িয়ে রয়েছে। এই ভাবে এই পাচার চক্র, অনেক দিন ধরে চলছিল এলাকায়। ইতিমধ্যে সাপের বিষ পাচারের সঙ্গে যুক্ত এক সাপুড়ে এবং তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করে তমলুক আদালতে তোলা হয়েছে। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, “ধৃতেরা হল জ্যোৎস্না রানি সিং (৬৫) ও সুকুমার বর (৫৫)। তাদের আপাতত জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে বনদফতরের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যাদের ধরা হয়েছে তারা আসলে চুনো পুঁটি। আসলে ওরা সাপ্লাই লাইন, তবে তাদের লিঙ্কম্যান কারা, সেই মাথাদের খুঁজে বের করতে হবে।” জীববৈচিত্র দলের সদস্য দেবগোপাল মণ্ডল বলেছেন, "ধৃতেরা এলাকায় বহু বছর ধরে বিষাক্ত সাপ ধরার কাজ করে থাকে। সাপের গতিবিধি তাদের নখদর্পণে। বেইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত তারা।"

আরও পড়ুনঃ মঙ্গলাহাটে প্রকাশ্যেই চলছে অবাধে ‘তোলাবাজি’, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে

পঞ্চাশ বছর ধরে বিষের কাজে যুক্ত ধৃতরা

ধৃতদের কাছ থেকে তদন্তকারী অফিসারেরা জানতে পেরেছেন, গত পঞ্চাশ বছর ধরে সাপের বিষ বের করার কাজ করছিলেন জ্যোৎস্না রানি সিং। সাপ ধরার পর তাদের দাঁত চেপে অতিরিক্ত বিষ বের করে নেওয়া হতো। মোটামুটি ১০-১০০মিলিলিটার বিষ একটি সাপের থেকে বের হয়। আবার চাপ বেশি দিলে দাঁত ভেঙেও যায়। তবে সাপ (Snakes) খেলা দেখানো সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ হলেও, এই এলাকায় অনেক দিন ধরে চলছিল এই খেলা। আর এই সব কিছুর আড়ালে চলছে বিষ পাচারের চক্র। বিষ ভেনম পাউডার করেই চালান দেওয়া হতো। একবার একটি সাপ থেকে বিষ বের করলে ফের দাঁতে বিষ তৈরি হতে সময় লাগে এক মাস। আবার বিষ বের করার সময় সাপের দাঁত ভেঙে গেলে, ভাঙা জায়গায় নতুন দাঁত গাজতে সময় লাগে সাত দিন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

Smuggling

bangla news

Bengali news

east medinipur

news in bengali

Snakes

venom


আরও খবর


ছবিতে খবর