হাতের কাছেই হাতছানি দিচ্ছে মৌসুনী আইল্যান্ড
অপরূপ মৌসুনী দ্বীপের ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের উপকূল পর্যটন মানচিত্রে একেবারে নতুন না হলেও এখনও দিঘা, মন্দারমণি, বকখালির মতো পরিচিতি বা জনপ্রিয়তা লাভ করেনি দঃ ২৪ পরগনার একেবারে প্রান্তিক অঞ্চলের এই অপরূপ সুন্দরী ভার্জিন সি-বিচ "মৌসুনী দ্বীপ বা মৌসুনী আইল্যান্ড (South 24 Parganas)। এখনও এখানে প্রবেশ করেনি শহরের ব্যস্ত জীবনের বিরামহীন পথচলা। এখনও এখানে তাই স্বমহিমায় বিরাজ করে অখণ্ড নির্জনতা, দূষণমুক্ত আর অনাবিল প্রকৃতি। উর্মিল বঙ্গোপসগরের তরঙ্গ লহরী এখানে প্রতিনিয়ত হাতছানি দিয়ে ডাকে প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটককে। বিস্তীর্ণ সোনালি বালি আকৃষ্ট করে হৃদয়।
মৌসুনী দ্বীপের (South 24 Parganas) ইতিহাস
এই সুন্দর দ্বীপটিকে জনমানসে পরিচিতি এনে দেওয়ার কৃতিত্বের অন্যতম দাবিদার কিন্ত বৃটিশরা। মূলত বৃটিশ আমলে এই দ্বীপটিকে ইংরেজরা ব্যবহার করত লবণ এবং শুকনো মাছ আনা-নেওয়ার কাজে। প্রথম এই দ্বীপটি সম্পর্কে লিখিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় "দি হিন্দু" পত্রিকায়।
মূল আকর্ষণ কী?
মূলত নীল সাগরের শোভা, বালুকাবেলা এই সৈকতের (South 24 Parganas) প্রধান আকর্ষণ। সঙ্গে উপরি পাওনা গ্রাম্য পরিবেশ। জেলেদের মাছ ধরা, নদী, সবুজ ধানের ক্ষেত -এসবের আকর্ষণও নেহাৎ কম নয়।
কিভাবে যাবেন
মৌসুনী দ্বীপ (South 24 Parganas) যাওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে নামখানা। এখান থেকে হাতানিয়া নদী পেরিয়ে (বর্তমানে এই নদীর ওপর সেতু হয়ে যাওয়ায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধে হয়ে গেছে) বকখালি যাওয়ার পথে খানিক পথ এগিয়ে যেতে হবে বাগডাঙা খেয়াঘাট। মূল সড়ক থেকে খেয়াঘাট অবধি যাচ্ছে টোটো। গাড়ি নিয়ে গেলে এখানে খেয়াঘাটের কাছে গাড়ি রাখার জন্য গ্যারাজের ব্যবস্থাও আছে। সড়ক বা বাসস্টপ থেকে খেয়াঘাট অবধি যেতে সময় লাগে কমবেশি ৩০ মিনিট। এবার গাড়ি এপাড়ে রেখে খেয়া নৌকায় নদী পেরিয়ে নদীর ওপাড়ে এসে সেখান থেকে আবারও টোটোতে প্রায় ১৫-২০ মিনিটের পথ মৌসুনী দ্বীপ বা মৌসুনী আইল্যান্ড।
কোথায় থাকবেন?
বর্তমানে এখানে সাগরের কূলে বেশ কিছু টেন্ট তৈরি হয়েছে পর্যটকদের থাকার জন্য। এই টেন্টগুলিতে খাওয়ার ব্যবস্থাও আছে ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।