কারও নামে সুপারিশ এলেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে নিয়োগপত্র...
হার্ড ডিস্কে মজুত ছিল 'নকল' নথি
মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এসএসসি দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্তে নেমে যেন গুপ্তধন পেল সিবিআই (CBI)! কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে কমিশনের দফতর থেকে সমস্ত নথিপত্র, কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করতে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে তা পাঠানো হয়েছিল ফরেনসিক তদন্তের জন্য। দিন কয়েক আগে ফরেনসিক তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়েছে সিবিআই। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে গোছা গোছা জাল নিয়োগপত্র। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন এত ‘নকল’ নিয়োগপত্র তৈরি হয়েছিল, কার নির্দেশে হয়েছিল এবং নিয়োগপত্র পাওয়া ব্যক্তিরা কাজে যোগ দিয়েছিলেন কি না, সেটাই খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল।
তদন্তকারী দল সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন চাকরি খোয়ানো শিক্ষক সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করতে শুরু করেছেন। তাতে তদন্ত অনেকটা এগিয়েওছে। বাড়তি পাওনা এসএসসি-র দফতর খেকে উদ্ধার হওয়া নথি। তদন্তকারীদের দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রহরায় রাতভর তল্লাশি চালিয়ে কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়েছিল। হার্ডডিস্কে সবই মজুত ছিল। ফরেনসিক করাতেই দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছেছে সিবিআই।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ২০১৬-১৭ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২০২১ সালেও নিয়োগ হয়েছে। প্যানেলের ভ্যালিডিটির কথা মাথায় রাখেননি কর্তারা। কারও নামে সুপারিশ এলেই নিয়োগপত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তলিয়ে দেখা হয়নি আদৌ তিনি বা তাঁরা চাকরির পরীক্ষায় বসেছিলেন কিনা। ফলে এই ধরনের সমস্ত নিয়োগপত্রের কোনও মূল্য আছে বলেই মনে করছেন না তদন্তকারীরা। একটি ফাইলেই ৩৬টি এমন নিয়োগপত্র পাওয়া গিয়েছে যেগুলি একেবারেই নকল। কার ইন্ধনে এই নিয়োগ হয়েছে, তা এখন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে সিবিআই।
আরও পড়ুন : এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই
এসএসসি-র সাধারণ কর্মীরা অনেকেই বুঝে গিয়েছেন সত্যি কথা না বললে নিস্তার নেই। তাই তদন্তের কাজে কর্মীরা অনেকেই সহযোগিতা করছেন। রাঘব বোয়ালদের কাছে পৌঁছানো স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন তদন্তের খোঁজ খবর রাখা ব্যক্তিরা।