অনেক ধেড়ে ইঁদুর বেরবে...
ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের মধ্যে অবৈধ উপায়ে সুপারিশপত্র (SSC Scam) নিয়েছেন এমন ১৮৩ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসিকে (SSC)। তাঁদের নাম স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার তিনি এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই ১৮৩ জনের মধ্যে কতজন চাকরি পেয়েছিলেন, তা জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। এদিনই পরে অবৈধ নিয়োগ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় শুনানির সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বৃহস্পতিবারই প্রকাশ করতে হবে না অবৈধদের তালিকা। আজ, বৃহস্পতিবার ফের মামলাটি ওঠে আদালতে। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই ১৮৩ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এই ১৮৩ জনের মধ্যে কত জন কোন স্কুলে যোগ দিয়েছেন, তা জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে জানার জন্য এসএসসি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, তিন দিনের মধ্যে কমিশনকে এই তথ্য জানাবেন জেলা স্কুল পরিদর্শকরা। ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে পরবর্তী রিপোর্ট পেশ করার জন্য এসএসসি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আগামী ৩ ডিসেম্বর এসএসসি কর্তৃপক্ষ, মামলাকারী এবং সিবিআই (CBI) নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবেন। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দুই সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে বেআইনি সুপারিশ '১৮৩' তথ্য জানাতে নির্দেশ এসএসসি কে। গাজিয়াবাদ ও এসএসসির দফতর থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া হার্ডডিস্ক থেকে ইতিমধ্যেই ওএমআর শিটের যে নমুনা দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে সিবিআই। এর পরেই এসএসসির উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, কোনও রকম ভয় পাবেন না। অনেক ধেড়ে ইঁদুর বেরবে। তিনি বলেন, ওএমআর শিটে ৩ আর এসএসসি দেখাচ্ছে ৫৩! সুবীরেশ ভট্টাচার্য কেন মুখ খুলছেন না, এদিন সে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, সুবীরেশ ভট্টাচার্য মুখ খুলছে না? মুখ খোলানোর কৌশল প্রয়োগ করুক সিবিআই। দিল্লি নিয়ে যাক। এদিন সিবিআইকে বিচারপতির নির্দেশ, দুপুর তিনটের সময় এসে আমাকে জানান যে সুবীরেশ ভট্টাচার্য মুখ খুলছেন কিনা। তারপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, অকল্পনীয় নির্দেশ দেব। এরা সরকারকে সমস্যায় ফেলছে। কমিশনের অফিসে ভুরি ভুরি দুর্নীতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিলল না জামিন, ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই পার্থ-অর্পিতা
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে নবম-দশমে নিয়োগের তালিকায় রয়েছে প্রায় ১৩ হাজারের নাম। নবম-দশমে নিয়োগের মেধা তালিকার নীচে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। বুধবার আদালতে এসএসসির আইনজীবী জানিয়েছিলেন, মূলত র্যাঙ্ক জাম্প করে সুপারিশের তথ্য খুঁজে পেয়েছে কমিশন। তালিকায় নীচের দিকে থাকা চাকরি প্রার্থীদের আগে নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের নিয়োগের ক্ষেত্রেও এমনই অভিযোগ উঠেছিল। ওই দিনই অবৈধ নিয়োগ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় শুনানির সময় সিবিআই জানিয়েছিল, ১৮৩ নয়, ভুয়ো সুপারিশ (SSC Scam) দেওয়া হয়েছে ৯৫২ জনকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।