ইডির দফতরে হাজিরা নিয়ে কী বললেন প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী?
SSC Scam
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) এবারে ইডির জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। গতকাল, সোমবার বেলা ১২ টা নাগাদ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে যেতে দেখা যায়। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তিনি ইডি দফতরের বাইরে বেরলে তাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তখন তিনি জানান, কিছু নথিপত্র ফেরত দেওয়ার জন্য তাঁকে ডেকেছিল ইডি। তবে সেগুলি কী ধরনের নথি, তা জানাননি তিনি। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী, এসএসসি-তে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
গতকাল তিনি ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ বেরিয়ে আসেন। ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে পরেশ বলেন, ‘‘কিছু নথি নিতে আজ এসেছিলাম। যে নথিপত্র আমার বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, সেগুলি ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে চিঠি দেওয়া হয়। তাই এসেছি।’’ এদিকে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই ফের চিঠি দিয়ে পরেশ অধিকারীকে তলব করা হতে পারে ইডির অফিসে। কিন্তু তাঁকে ফের কবে আসতে হবে তা এখনও জানানো হয়নি। পরবর্তী হাজিরার তারিখ চিঠি দিয়েই জানানো হবে।
আরও পড়ুন: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রসঙ্গত, পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) নিয়োগে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে। জুলাই মাসে বাড়িতে তল্লাশির পর বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই নথি খতিয়ে দেখেই এদিন তাঁকে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগের সময় এসএসসি মেধাতালিকায় বেআইনিভাবে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার নাম ঢোকানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ববিতা সরকার নামে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলা করার পরই এসব তথ্য প্রকাশ্যে আসে।
এরপর অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ববিতাকে সেই চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয় ও যতদিন অঙ্কিতা শিক্ষিকা ছিলেন, ততদিনের বেতন দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডের তদন্ত করেছে সিবিআই। সেই সূত্রে এর আগে পরেশকে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। এই প্রথম আরও এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি-র জেরার মুখে পড়তে হল পরেশকে। ইডি সূত্রের খবর, মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনি ভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য কোনও টাকার লেনদেন হয়েছে কি না, ও কীভাবে সেই টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে তা জানতেই পরবর্তীতে ফের তলব করা হবে পরেশ অধিকারীকে।