তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ, জয়শ্রীর নামে বেশ কিছু সম্পত্তিরও হদিশ মিলেছে
নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ সঙ্গে স্ত্রী জয়শ্রী।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) ধৃত, তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) স্ত্রী জয়শ্রী ঘোষকে (Jayashree Ghosh) জিজ্ঞাসাবাদ করলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলল প্রশ্নোত্তর পর্ব। জয়শ্রীর নামে বেশ কিছু সম্পত্তিরও হদিশ মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে জয়শ্রী মুখে কুলুপ এঁটেই ছিলেন বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযোগ,দেশের পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যবসায় বঙ্গের চাকরি বিক্রির (SSC Scam) দেদার টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। তৃণমূল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষ শিক্ষা ক্ষেত্রে বাঁকা পথে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দু’হাতে যে-টাকা পকেটে ভরেছিলেন, তা বিনিয়োগ করেছিলেন পূর্বে ত্রিপুরার চা-বাগানে এবং পশ্চিমে গোয়ার হোটেল ব্যবসায়। এমনকি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) কালো টাকা কুন্তলের মাধ্যমে বাংলাদেশের কয়েকটি সম্পত্তিতেও বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে ইডি। ট্রাস্টের অধীনে থাকা কুন্তলের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের বোর্ডের সদস্য ছিলেন তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী। কুন্তলের স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ঢুকেছে কিনা, সেই স্কুলের অ্যাকাউন্ট, জয়শ্রীর নামে থাকা সম্পত্তি এবং ব্য়াঙ্কের লেনদেন সংক্রান্ত নথি নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি।
আরও পড়ুুন: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
তদন্তকারীদের দাবি, জয়শ্রীর বয়ানে নানান অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। জয়শ্রীর নামে থাকা সম্পত্তি এবং তাঁর আয়করের নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। ফের তাঁকে তলব করবে ইডি। ২০১৭ সালের পরে কুন্তলের দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে জয়শ্রীর অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় মোটা অঙ্কের টাকা জমা পড়েছিল। ২০১৭ সালের পর থেকে জয়শ্রীর নামে একাধিক সম্পত্তিও কেনা হয়েছে। বেসরকারি বিএড ও ডিএলএড কলেজ ছাড়াও কয়েকটি বেসরকারি স্কুল আছে কুন্তলের। ট্রাস্ট গঠন করে বেসরকারি কলেজ ও স্কুল কেনা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, জয়শ্রী ওই ট্রাস্টের অন্যতম সদস্যা। ট্রাস্টের মাধ্যমে বেসরকারি স্কুল ও সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের অভিযোগ। রাজারহাট-নিউটাউনের যে ফ্ল্যাট থেকে কুন্তলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেখানে মাঝে মাঝেই বৈঠকে বসতেন কুন্তল ও তাঁর সহযোগীরা। সেখানে উপস্থিত থাকতেন কারা কারা? কোনও প্রভাবশালীর উপস্থিতি থাকত কি না-তাও জানতে চাওয়া হয় জয়শ্রী ঘোষের কাছে। তদন্তকারীদের দাবি, সব প্রশ্নই এড়িয়ে গিয়েছেন জয়শ্রী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।