Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে অযোগ্য শিক্ষকের সংখ্যা বদল করল কমিশন, কেন ব্যাখ্যা নেই
নিয়োগ দুর্নীতিতে যোগ্যদের তালিকা প্রমাণ-সহ প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) যোগ্যদের তালিকা প্রমাণ-সহ প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। গত ২২ এপ্রিল এসএসসি কাণ্ডে ২৬ হাজার স্কুল শিক্ষকের চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছিল, মঙ্গলবারই তার উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ শীর্ষ আদালত বলেছে, যদি যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থী ভেদ করা যায় তাহলে পুরো প্যানেল বাতিল করা ঠিক নয়। এসএসসি ইতিমধ্যেই ৫২৫০ জনের বেআইনি নিয়োগের কথা বলেছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই-কে উদ্ধৃত করে এসএসসি জানিয়েছে, ২০১৬ সালে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে ৮৮৬১টি। আর এই সংখ্যা আলাদা হওয়া নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা।
২০১৬-তে বেআইনি নিয়োগ নিয়ে এসএসসি-র (SSC Scam) কাছ থেকে অযোগ্যদের তালিকা চেয়ে না-পেয়ে সে বারের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তার বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে এসএসসি, রাজ্য সরকার এবং চাকরি হারা শিক্ষকেরা। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের রায়ে স্পষ্ট, ১৬ জুলাই পর্যন্ত চাকরি বহাল থাকবে ২০১৬-তে এসএসসির চাকরি পাওয়া শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের। তারপর চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট। এদিনের শুনানির আগে শীর্ষ আদালত এসএসসি-র কাছে জানতে চেয়েছিল, যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের পৃথকীকরণ সম্ভব কি না৷ এসএসসি-র পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে সেই তথ্য রয়েছে৷ সেই মতো এদিন শীর্ষ আদালতে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা হলফনামা আকারে জমা দেয় এসএসসি৷ সেখানেই দেখা যায়, এসএসসি সুপ্রিম কোর্টকে বলেছে, ২০১৬ সালে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে ৮৮৬১টি। কিন্তু এর আগে এসএসসি বলেছিল ৫২৫০ জনের বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। এরপরই প্রশ্ন ওঠে সংখ্যাটা পাল্টে যাওয়া নিয়ে। কী করে অযোগ্যদের সংখ্যা পাল্টে গেল, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি।
আরও পড়ুন: বাংলায় করলেন কবিতাপাঠ, কবিগুরুর জন্মদিনে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর
এদিন শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতে এসএসসি-র (SSC Scam) আইনজীবী দাবি করেন, ২০১৬ সালের ওই প্যানেলের মধ্যে ১৯ হাজার নিয়োগই বৈধ ছিল৷ তার স্বপক্ষে যাবতীয় তথ্য এসএসসির হাতে রয়েছে বলেও দাবি করেছেন এসএসসি-র আইনজীবী৷ ফলে কয়েক হাজার অবৈধ নিয়োগের জন্য কেন যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বাতিল হবে, শীর্ষ আদালতে সেই প্রশ্ন তোলে এসএসসি৷ একই সঙ্গে এসএসসি-র পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের হয়ে কোনও সওয়াল এসএসসি আদালতে করবে না৷ এসএসসি দাবি করে, নাইসা-র থেকে পাওয়া তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে৷ মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ জুলাই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।