SSC Scam: বয়স কমিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ...
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) মামলা যেন শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না। আর একের পর এক মামলার তদন্তভার দেওয়া হচ্ছে সিবিআইকে। ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির (SLST) ২১ জনের বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয় আদালতের তরফে। আর আজ সেই ২১ জনকে জেরা করার জন্য সিবিআইকে অনুমতি দিল হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বয়স কম দেখিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। জানুয়ারি মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
২০১৬ সালে নবম এবং দশম শ্রেণিতে বয়স কমিয়ে এবং অ্যাকাডেমিক নম্বর বেশি দেখিয়ে অনেককে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে ১৯২ জন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করেন। চাকরিতে নিয়োগের জন্য বয়সসীমা ৪০ বছর। কিন্তু সেই বয়স পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মামলাকারী (SSC Scam)। মামলাকারীদের দাবি, “এসএসসি-র দেওয়া মেধাতালিকা তথ্যেই স্পষ্ট, বয়স পেরোনোর পরেও চাকরি দেওয়া হয়েছে। এতে সিবিআই তদন্তের দরকার।”
ইতিমধ্যেই আদালতের কাছে এই ২১ জনের তালিকা এসে পৌঁছেছে। ফলে সেখানে দেখা গিয়েছে, তাদের প্রকৃত বয়স ৪০-এর উপরে। কিন্তু চাকরির জন্য বয়স কম করে দেখিয়েছে তারা। এরপরেই এতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে অন্তত ১৬৩ জনকে বেআইনি ভাবে চাকরিতে নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল বলে ইতিমধ্যেই হলফনামা দিয়ে মেনে নিয়েছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ (SSC Scam)।
আর এরপরেই এই মামলায় (SSC Scam) বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, আপাতত অভিযুক্ত ২১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। এমনকী গোটা প্যানেল বাতিলের হুঁঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি। আজ শুনানি পর্বে বিচারপতি বসু বলেন, “দুর্নীতি কোথায় হয়েছে তা দেখা হবে। কিছু যোগ্য প্রার্থীর কথা বিবেচনা করবে আদালত। যদি দেখা যায় অধিকাংশকেই বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে তবে, প্রয়োজনে সব নিয়োগ বাতিল করে দেব।” সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকায় থাকা ৪০ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।”
হাইকোর্ট থেকে আরও নির্দেশ দেওয়া হল, নিয়োগ মামলায় (SSC Scam) বয়স, নম্বর ইত্যাদি খতিয়ে দেখে আদালতে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে। ফলে এই নিয়োগ মামলায় আবার কী তথ্য সিবিআইয়ের হাতে উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার।