ওএমআর শিট সংরক্ষণ করবে রাজ্য শিক্ষা দফতর, কেন জানেন?...
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওএমআর শিট থাকলে আইনি জটিলতা কম হত। ফলে যোগ্যদের চাকরিও সুরক্ষিত থাকত, অযোগ্যদের তথ্যও মিলত।” কথাগুলি বললেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। এই একই ভুল যাতে ফের না হয়, তাই ওএমআর শিট সংরক্ষণের পদ্ধতিতেই পরিবর্তন করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
জানা গিয়েছে, নতুন করে যেসব শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নিয়োগ করা হবে, আগামী ১০ বছর পর্যন্ত সব পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট সংরক্ষণ করে রাখা হবে। নিয়োগ পদ্ধতির স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রশ্নপত্রের কার্বন কপিও থাকবে পরীক্ষার্থীদের কাছে (SSC)। নয়া এই সিদ্ধান্তে স্কুল শিক্ষা দফতরের সবুজ সঙ্কতের অপেক্ষায় রয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে কথা হয়েছে। এরপর থেকে নিয়োগের যা পরীক্ষা হবে, সেখানে ওএমআর শিট সংরক্ষণ করে রাখা হবে ১০ বছর।”
শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির জেরে চাকরি খুইয়েছেন প্রায় ছাব্বিশ হাজার জন। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন এঁরা। অযোগ্যদের ভিড়ে পড়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন যোগ্য প্রার্থীরাও। সোমবার হাইকোর্টের রায় প্রকাশ্যে আসার পর কারও কারও মতে, পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট সংরক্ষণ করা থাকলে চাকরি খোয়াতে হত না যোগ্যদের। যোগ্য-অযোগ্য শনাক্ত করাও হত অনায়াস। এ প্রসঙ্গে এসএসসির চেয়ারম্যান বলেন, “যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিয়েছিল এসএসসি। গত ১৩ ডিসেম্বর হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছিল। আদালত তাতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ফের ১৮ তারিখে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুুন: “আরও বেশি করে ভোট দিন”, আবেদন মোদি, শাহের
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ওএমআর দুর্নীতি, ওএমআর কারচুপি, ওএমআরের তথ্য লোপাট সহ নানা অভিযোগ ওঠে। এই কারচুপিতে নাম জড়ায় গাজিয়াবাদের এক সংস্থার। এনওয়াইএসএ কমিউনিকেশনস প্রাইভেট লিমিটেডই মূল্যায়ন করেছিল ওএমআর শিট। এই সংস্থার হার্ডডিস্কে যাঁরা ১ বা ২ পেয়েছিলেন, কমিশনের সার্ভারে তাঁদের দেখানো হয়েছে ৫১ কিংবা ৫২ পেয়েছেন বলে। উল্টোটাও হয়েছে। মূল্যায়নকারী সংস্থার সার্ভারে যাঁর নম্বর দেখাচ্ছে ৪০, কমিশনের সার্ভারে তা কমিয়ে দেখানো হয়েছে ১০। এই কারচুপি রুখতেই নয়া ব্যবস্থা (SSC)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।