মুরারই এলাকায় বিজেপির সভায় সংখ্যালঘুদের ভিড় উপচে পড়েছিল
বীরভূমের মুরারই এলাকায় জনসভায় বক্তব্য রাখছেন শুভেন্দু অধিকারী
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট কোথায়? অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে জনসভায় আসা কর্মী, সমর্থকদের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, চড়াম-চড়াম, নকুল দানার খাওয়ানোর কথা বলতেন। বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতেন না। এখন তিনি কোথায়? কর্মী, সমর্থকরা চিত্কার করে বলে তিহারে। এরপর তিনি মুরারইয়ের তৃণমূল নেতা আলী মুর্তজা খান, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ ভকত, মুরারই ১ নম্বর ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষের নাম নিয়ে চোর বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, "এরা মাসে ৯ হাজার কোটি টাকা ডিসিআরের নামে আদায় করে পিসি- ভাইপোকে পাঠাচ্ছে। এই টাকা পাচারের জন্য আইপিএস শ্যাম সিং কে ডি আই জি পদে নিয়ে আসা হয়েছে। ওই অফিসার সামনে পিছনে পুলিশ নিয়ে টাকা কলকাতায় পৌঁছে দিচ্ছে"। তিনি আরও বলেন,"তৃণমূলের সবাই চোর। এখনও এই জেলার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান, বিধায়ক রানা সিংহ তালিকায় রয়েছে। এরকম সমস্ত নেতা মন্ত্রী লাইনে আছেন। তবে ধেরে ইঁদুরদের আমরা দেখব"।
সাগরদিঘি নির্বাচনে সংখ্যালঘুরা শাসক দল তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কেষ্টহীন বীরভূমে শাসক দলের এখন নড়বড়ে অবস্থা। গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার তৃণমূল। এই অবস্থায় এবার মুর্শিদাবাদ লাগোয়া বীরভূমের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুরারইয়ের কেস্তারা গ্রামে সৌজন্য ও সম্প্রীতি জনসভা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে আরও চাপে ফেলে দিলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। কারণ, এদিনের জনসভায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল। এদিন তিনি (Suvendu Adhikari) গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ ও আসামের উদাহরন দিয়ে বলেন, "তৃণমূল বলছে এনআরসি হলে মুসলিমদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে। ওই তিন রাজ্যে দেখান কতজন মুসলিমকে তাড়ানো হয়েছে? এসব বলে সংখ্যালঘু ভাইদের আর বিজেপি থেকে সরানো যাবে না। ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন"। তিনি আরও বলেন, "রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ১০ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। সেই স্বজনহারারা আজ আমাদের সঙ্গে। আমরা বগটুই গ্রামে স্মরণ সভা করার প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমাদের দেখে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামে গিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। এজন্য ধন্যবাদ জানায় বগটুই গ্রামের মানুষকে"।
এদিনের সভায় সভায় দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, হজ কমিটির সদস্যা মাফুজা খাতুন, রাজ্য সম্পাদক শ্যামা পদ মণ্ডল, মহিলা মোর্চার বীরভূম সাংগঠনিক সভাপতি রশ্মি দে, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা উপস্থিত ছিলেন। এদিন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। আপনারা বুথ আগলে রাখুন। আর তোলামূলকে একটাও ভোট নয়। শুধু তাই নয়, তিনি নো ভোট টু মমতা লেখা গেঞ্জি মঞ্চে সকলের সামনে পড়েন। তিনি আরও বলেন,"সোমবার ঠাকুরনগরের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খুলব"।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।