ভয়াবহ অবস্থা রাজ্যে, মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাডকেও ছাড়ছে না ঠিকাদাররা!
এভাবেই ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য তৈরি হেলিপ্যাড। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর জন্য তৈরি করা হেলিপ্যাড ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। তার থেকেও বড় কথা, স্থানীয় ঠিকাদারদের দখলে চলে গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাড। বীরভূম সফরে এলে গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহের পাশের হেলিপ্যাডে নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার। প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই সেই হেলিপ্যাড ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
কীভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাড?
শাসক দল তৃণমূল-কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের মদতে কোপাই নদীর পাড় থেকে শুরু করে সরকারি জমি দখল করে ফ্ল্যাট, রেস্তোরাঁ, হোটেল, আবাসন প্রভৃতি নির্মাণের অভিযোগ বোলপুর-শান্তিনিকেতনে নতুন কিছু নয়। এবার দেখা গেল খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিপ্যাড স্থানীয় ঠিকাদারদের দখলে চলে যাচ্ছে৷ আর নজরদারির অভাবে হেলিপ্যাডটি কার্যত ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বোলপুরে গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহের ঠিক পিছনে কংক্রিটের হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হয়েছিল। রাজ্যে পালাবদলের পর যখনই মুখ্যমন্ত্রী বীরভূম জেলা সফরে এসেছেন, তাঁর হেলিকপ্টার এই হেলিপ্যাডে নামে৷ বোলপুর পৌরসভা, শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্যদের নজরদারির অভাবে সেই হেলিপ্যাডে আবর্জনা ফেলা হয়৷ আবর্জনা স্তূপাকার হয়ে পড়ে আছে চতুর্দিকে। এমনকি, হেলিপ্যাডের চারদিকে বড় বড় আবাসন তৈরি হয়ে গিয়েছে। এছাড়া, স্থানীয় ঠিকাদাররা হেলিপ্যাডের আশপাশে নির্মাণ সামগ্রী, বালি, পাথর ফেলে রেখেছে। অর্থাৎ, নতুন করে নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে৷
বাসিন্দারা কী বলছেন?
বোলপুরের বাসিন্দা সোমনাথ ঘোষ, কাঞ্জন ঘোষ বলেন, "রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাড ভাগাড়। নজর নেই প্রশাসনের৷ তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা ভাবুন। বোলপুর-শান্তিনিকেতনের অন্যান্য জায়গা কংক্রিটের জঙ্গল, আবর্জনার স্তূপ করে শেষ করে দিয়েছে। শুধুই তোলাবাজি চলে এখানে৷ তাই ঠিকাদার এত সাহস পায়।"
কী জবাব প্রশাসনের?
বোলপুর পৌরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ বলেন, "বোলপুর আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শহর। এই শহর পরিচ্ছন্ন থাকবে, এটাই কাম্য। আমার নজরে এসেছে হেলিপ্যাডটি৷ আমি স্থানীয় কাউন্সিলারের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ওই এলাকা পরিচ্ছন্ন করে দেব।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।