img

Follow us on

Sunday, Oct 06, 2024

STF: আইএস জঙ্গি কুরেশি ও সাদ্দামের কীভাবে যোগাযোগ হয়? মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত এসটিএফ-র

STF: তাদের সম্পর্কে আরও তথ্য জোগাড় করার জন্যই এমন পরিকল্পনা নিয়েছে এসটিএফ।

img

আব্দুল রাকিব কুরেশি

  2023-01-13 23:54:56

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি দমনে মরিয়া কলকাতার এসটিএফ। নতুন বছরের শুরুতেই আইএস জঙ্গি সন্দেহে হাওড়া থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)। এদের নাম মহম্মদ সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদ। এখানেই শেষ না, কলকাতা এসটিএফের জালে আসে আরও এক আইএস (ISIS) জঙ্গি। মধ্যপ্রদেশ থেকে এই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ৩৩ বছর বয়সি ওই ধৃত জঙ্গির নাম আব্দুল রাকিব কুরেশি। আর এদেরকে জেরা করতেই তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে উঠে এসেছে, সাদ্দাম ও কুরেশির সঙ্গে এক যোগ-সূত্র রয়েছে এবং তাদের এক বড়সড় হামলার ছক ছিল। ফলে তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও তথ্য বের করার জন্য একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।

কে এই আব্দুল রাকিব কুরেশি ও কীভাবে তার সাদ্দামের সঙ্গে আলাপ হয়?

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি প্রাক্তন সিমি সদস্য। ২০০৯ সালে তাকে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। খুনের চেষ্টার অভিযোগেও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে তিনিই আবার তালিবানের পক্ষে স্লোগান দিয়েছিলেন আদালতে। এসটিএফ-এর আধিকারিকরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, সাদ্দাম ও কুরেশির যোগাযোগ রয়েছে। এসটিএফ আধিকারিকদের দাবি, ২০১৯ সালে জেল থেকে বের হওয়ার পরেও কুরেশি হাওড়া আইএস মডিউলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলত। এর পর সে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে তার মত লোকজনকে খুঁজে বেড়াত। মূলত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য সে এইভাবে সংগঠনে নতুন করে নিয়োগ করত। এদিকে সেই সূত্র ধরেই টেলিগ্রামের মাধ্যমে তার সঙ্গে হাওড়ার আইএস অপারেটিভ মহম্মদ সাদ্দামের সঙ্গে তার আলাপ হয়। এর পর তারা দুজনেই যুব সমাজের ব্রেন ওয়াশ করে আইএস মডিউলে নাম লেখানোর চেষ্টা করত। এর কিছু নজিরও পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তারা ঠিক কোথায় যাতায়াত করত, আর কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সবটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: আদালতে তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল কুরেশি! আইসিস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সাদ্দামের!

আবার সাদ্দাম পুলিশকে জানিয়েছে, সে অস্ত্রের জন্য কুরেশির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই তাদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে ওঠে। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই পুরানো কিছু চ্যাট সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন। অস্ত্র সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কুরেশির পুরানো কোনও মামলা রয়েছে কি না, আর কার সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখত এসব জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জঙ্গি মডিউলের সম্পর্কেও আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করে চলেছে এসটিএফ। এর জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সাদ্দাম ও কুরেশির বিষয়ে আরও বেশি তথ্য জানার জন্য এসটিএফ আধিকারিকরা তাদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা করেছেন।

জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ মামলায় চার্জশিট জমা এনআইএ-এর

একদিকে এসটিএফ যেমন সন্ত্রাস দমনে তৎপর হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে এনআইএ এদিন ২০২২ সালে দাখিল হওয়া জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ মামলায় এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের একটি বিশেষ আদালতে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট জমা করল। এই মামলায় ২০২২ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী ৬ জন সহ মোট ১০ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ঢাকার একটি জনপ্রিয় ক্যাফেতে জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠী হামলা চালানোর পর সেখানে ১৭ জন বিদেশী সহ ২২ জন নিহত হয়েছিলেন। পরে এনআইএ জানিয়েছিল যে, এই জঙ্গি গোষ্ঠী ভারতেও এমনই করার চেষ্টা করছিল।

Tags:

NIA

national investigation agency

stf

Special Task Force

Jamaat-ul-Mujahideen Bangladesh case


আরও খবর


ছবিতে খবর