তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রেহাই পেল না সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বাও
আক্রান্ত সুমাইয়া পারভিন। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) তৃণমূলের বিদায়ী প্রধানের সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মারা হল গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে। ভাঙচুর করা হল বাড়ি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের বিদায়ী প্রধানের পরিবারের। কিন্তু ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করেন তিনি। গোষ্ঠী কোন্দলে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে জেলায়।
ঘটনা ঘটেছে খানাকুলের (Hooghly) ঘোষপুর এলাকায়। আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা মহিলার নাম সুমাইয়া পারভিন। বর্তমানে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, রবিবার ঘোষপুর এলাকায় খানাকুল ১ নং তৃণমূল ব্লক সভাপতি ইলিয়াস চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বাইক মিছিল করা হয়। সেই মিছিলেই ওই এলাকার বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান হায়দার আলিকে যোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু তিনি সেই মিছিলে যোগ না দেওয়ায় হঠাৎ হামলা চালানো হয় তাঁর বাড়িতে। সোমবার বাড়িতে ঢুকেই ব্লক সভাপতি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালায় এবং বিদায়ী প্রধানের সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকেও মারধর করে। শুধু তাই নয়, তাঁকে লাথি মারা হয় বলেও অভিযোগ। পুরো ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূলেরই ব্লক সভাপতি এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ছেলের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে খানাকুল থানায়। যদিও ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী।
আক্রান্ত সুমাইয়া পারভিন (Hooghly) বলেন, আমার স্বামী তৃণমূল করে, আর যারা এসেছিল তারাও তৃণমূলই করে। গতকাল একটা বাইক মিছিলে না যোগদান করার জন্য আমার বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে। শেখ আক্তার, শেখ আক্রম, শেখ আরাবুলরা এসে আক্রমণ করে। তিনি আরও বলেন, আমাকে প্রচুর মারধর করে, লাথি মারে। আমার স্বামী এবং মেয়েকে মারধর করে। ঘটনায় ইলিয়াস এবং ওয়াসিম আক্রামের ছেলেরা এসে আমাকে লাথি মারে এবং এরপর মাটিতে ফেলে মারধর করে। আমার পেটে সাত মাসের বাচ্চা, আমি খুব অসুস্থ বোধ করছি। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি চান বলে দাবি করেছেন সুমাইয়া।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।