Students: মুর্শিদাবাদের স্কুল ছাত্রীর ‘তিলক’-‘মালা’র উপর শিক্ষিকাদের ফতোয়া!
খোল-করতাল বাজিয়ে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ। নিজেস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘কপালে তিলক’, ‘গলায় মালা’ নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করতে বারণ করেছেন স্কুলের শিক্ষিকারা। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জ উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয়ে। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে খোল-করতাল বাজিয়ে নাম সংকীর্তনের মাধ্যমে স্কুল গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন ইসকনের ভক্তবৃন্দরা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। এই প্রেক্ষিতে স্কুলে এই নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় শোরগোল পড়েছে।
মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার রঘুনাথগঞ্জ উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয়ে গরমের ছুটি পড়ার আগে, এই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষিকা, অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী অনু মন্ডলকে তিলক পরে স্কুলে আসাতে বারণ করেছিলেন। তখন ছাত্রী এই ব্যাপার নিয়ে অতটা ভাবেনি, কারণ ঠিক পরের দিন থেকেই স্কুলে গরমের ছুটি শুরু হয়ে গিয়েছিল। এইবার ছুটি শেষ হওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার আবার যখন ওই ছাত্রী স্কুলে প্রবেশ করে, তখন পুনরায় কয়েকজন শিক্ষিকা তাকে বলে, “তোমাকে তিলক কেটে আসতে মানা করা সত্ত্বেও কেন তুমি তিলক কেটে এসেছো? এগুলি স্কুল ড্রেসের সঙ্গে মানায় না।” অবশেষে ছাত্রী, স্কুলের দিদিমণিকে উদ্দেশ্য করে জানতে চায়, “কী কারণে তিলক কেটে আসা যাবে না? কারণ খাতায় লিখে দিতে হবে আপনাদের।”
স্কুলের ছাত্রী অনু মণ্ডল বলে, “স্কুলের (Murshidabad) দিদিমণিকে আমি জানাই, আমার বাবা-মা তিলক কেটে স্কুলে আসতে বলেছেন, সেই কারণে আমি এসেছি। কিন্তু স্কুলে আমার উপর ফতোয়া জারি করায়, বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে জানাই। কিন্তু আমাকে একপ্রকার স্কুল থেকে ভয় দেখানো হয়েছে। স্কুলের ড্রেসের সঙ্গে তিলক কাটা যাবে না বলে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। আমি ভীষণ ভয় পেয়েছি।” ফলে এতে এলাকায় চাঞ্চাল্য তৈরি হয়। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে, খোল-করতাল বাজিয়ে, নাম সংকীর্তনের মাধ্যমে স্কুল গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান ইসকনের ভক্তবৃন্দরা।
আরও পড়ুন: কোচবিহারে আক্রান্ত নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে তৃণমূলকে কড়া হুঁশিয়ারি নিশীথের
স্কুলের (Murshidabad) প্রধান শিক্ষিকার কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার জানা নেই ঠিক কোন শিক্ষিকা এইরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। আমি এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করব, তিলক-মালা কেন পরতে বারণ করা হল।” পরবর্তীতে স্কুলের পক্ষ থেকে ওই ছাত্রীকে জানানো হয়, তিলক কেটে স্কুলে আসতে পারে, এক্ষেত্রে কেউ বারণ করবে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।