১৪ মার্চ নন্দীগ্রামের সঙ্গে সন্দেশখালির তুলনা শুভেন্দুর…
প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৪ মার্চ হল নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস (Nandigram dibas)। ২০০৭ সালে তৎকালীন বাম শাসনের রক্তচক্ষুর প্রত্যক্ষ শিকার হতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। খুন, ধর্ষণ, জমি লুট কী হয়নি। আজ এই দিনকে স্মরণ করে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে নন্দীগ্রামের নারী নির্যাতনের সঙ্গে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। পাশপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামজিক মাধ্যমে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।
নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নন্দীগ্রামে (Nandigram dibas) সেই দিন মা-বোনের ভূমিকা দেখেছি। এখন তৃণমূলের শাসনে সন্দেশখালিতে মা-বোনদের অবস্থা দেখেছি। সেই দিনও জোর করে জমি দখল করা হয়েছিল। আজও জোর করে চাষের জমি দখল করে নিয়েছে। খেজুরি থানায় কয়েকশ মিথ্যা মামলা দিয়েছে পুলিশ। মমতা পুলিশ আর বামশাসনের পুলিশের মধ্যে কোনও আচরণ গত পার্থক্য নেই। নির্যাতনই তাঁদের শেষ কথা।”
২০০৭ সালে রাজ্যে বাম শাসন চরম শিখরে। এরপর কেটে গিয়েছে ১৬ টি বছর। নন্দীগ্রামে (Nandigram dibas) ভূমি উচ্ছেদ কমিটির আন্দোলনকারীদের উপর বামফ্রন্ট সরকারের পুলিশ নির্মম গুলি চালিয়েছিল। মারা গিয়েছে ১৪ জন মানুষ। কিন্তু ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এই দিনকে নন্দীগ্রাম শহিদ দিবস পালন করা হয়। কিন্তু রাজ্যের বিজেপি, তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলে, নন্দীগ্রামে যেমন বাম শাসকেরা অসহায় মা-বোনের উপর অত্যাচার, খুন, ধর্ষণ করেছে, ঠিক এক দশকের বেশি সময় ধরে মা-মাটি-সরকারও এই রাজ্যে একই আচরণ করে চলেছে। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের ছবিটাও নন্দীগ্রামের চিত্রকেই উপস্থাপন করে।
আজ নন্দীগ্রামের শহিদ (Nandigram dibas) দিবসে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে বলেন, “সিপিআইএমের হার্মাদ বাহিনীর অত্যাচারে নিহত সকল শহিদদের প্রণাম জানাই। কৃষক ভাইবোন এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। নন্দীগ্রামের এই শহিদ দিবস, কৃষক দিবস হিসাবেও পালিত হয়।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদে, Twitter এবং Google News পেজ।