প্রার্থী বাছাই নিয়ে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহেরা নিল মালদহের হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। এই পঞ্চায়েতের বুথ কমিটির বৈঠকে এক পক্ষ অন্য পক্ষের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। নামে পুলিশও।
প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে আক্রান্তদের ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক দল। সামনের পাঁচ বছরের ক্ষমতার রাশ কার দখলে থাকবে তা নিয়ে এখন দলের অন্দরে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েতে কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে দলের অন্দরেই চর্চা শুরু হয়েছে। আর এই প্রার্থী বাছাই নিয়ে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহেরা নিল মালদহের হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। এই পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর বুথ কমিটির বৈঠকে দলীয় প্রার্থী (Tmc Candidate) ঠিক করা নিয়ে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
মহেন্দ্রপুর গ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের নাম মহম্মদ মুজাহিদ। এবার এই বুথে শাসক দলের প্রার্থী (Tmc Candidate)কে হবেন তা নিয়ে হাইস্কুল মাঠে বুথ কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রার্থী হওয়া নিয়ে নাম সংগ্রহ করা হয়। আলোচনার মাধ্যমে দলীয় সদস্য মুজাহিদের পাশাপাশি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা জাকির হোসেনের নাম ওঠে। অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন এই নাম নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা বাধে। পরে, হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ। এই বিবাদ বাড়ি পর্যন্ত পৌঁচ্ছে যায়। মুজাহিদের অনুগামীরা জাকিরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে সোহেল আক্তারকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। সোহেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই বিষয়ে আক্রান্ত তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা জাকির হোসেন বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী (Tmc Candidate) হওয়া নিয়ে ঝামেলা। এখন যে পঞ্চায়েত সদস্য আছে সে তার দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে মারধর করেছে। আমার ছেলের অবস্থা খুব খারাপ। আমি ওদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ মুজাহিদ বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছি। এবারেও প্রার্থী (Tmc Candidate) হিসেবে আমার নাম প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সেই জন্যই এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।
তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। মহেন্দ্রপুর অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুস শোভান বলেন, যত ভোটের দিন এগিয়ে আসবে তৃণমূলের কোন্দল তত বাড়বে। এদের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে ভরাডুবি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। এখন বিদায় বেলায় তারা নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা করে শেষ হবে। এই ঘটনায় আদতে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় কোন্দল নিয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু সাফাই দিয়ে বলেন,তৃণমূল বড় দল।একই আসনে অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে।মতান্তর হতেই পারে।এই নিয়ে বিরোধীরা অযথা রাজনীতি করছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ