দুর্নীতিকে আশ্রয় না দিলে মাননীয়া দিদি কি হিন্দি শেখার জন্য...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনে হচ্ছে, ইডি (ED) একেবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে! এবার খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর পালা আসতে চলেছে। কলকাতায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ উদ্ধারের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে এই ভাষায়ই নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন একটি ট্যুইটও করেন সুকান্ত। তাতে লেখেন, ইডির রেইডে কোটি কোটি, সব খেয়েছে হাওয়াই চটি! শোনা যাচ্ছে, কয়লাকাণ্ডে যে বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে, সেই বাড়ির মালিক নাকি মনজিৎ সিং গেরেওয়াল। যিনি আবার দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূলের হিন্দি সেলের সভাপতি। দুর্নীতিকে আশ্রয় না দিলে মাননীয়া দিদি কি হিন্দি শেখার জন্য তাঁকে নিযুক্ত করেছিলেন?
বৃহস্পতিবার প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনাকে কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ইডির পারফরমেন্সে আমি হতাশ। দেড় কোটি নয়, বাংলা দেড়শো কোটি টাকা উদ্ধারের জায়গা। সুকান্তের অভিযোগ, এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মনজিৎ সিং গেরেওয়ালের নাম উঠে আসছে। যাঁকে জিট্টি ভাই বলে সবাই ডাকে। তাঁর অফিস থেকে এবং তাঁর পরিচিত লোকজনদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে ইডির দাবি।
ইডির রেইডে কোটি কোটি, সব খেয়েছে হাওয়াই চটি!
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) February 9, 2023
শোনা যাচ্ছে কয়লা কাণ্ডে যে বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে, সেই বাড়ির মালিক নাকি মনজিত সিং গেরেওয়াল। যিনি আবার দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূলের হিন্দি সেলের সভাপতি।
দুর্নীতিকে আশ্রয় না দিলে মাননীয়া দিদি কি হিন্দ শেখার জন্য তাঁকে নিযুক্ত করেছিলেন? pic.twitter.com/tGbcuLRhBK
বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রশ্ন, এই লোকটির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের নিবিড় যোগাযোগ কেন? কী ধরনের লেনদেন হয় তাঁর সঙ্গে ? সুকান্ত বলেন, সমস্যায় পড়লে মুখ্যমন্ত্রী নিজের পরিবারের লোককেও চিনতে পারেন না। এর পরেই তিনি বলেন, মনে হচ্ছে, ইডি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। এবার খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর পালা আসতে চলেছে।
আরও পড়ুুন: বালিগঞ্জের পর গড়িয়াহাট! গাড়ি থেকে উদ্ধার 'টাকার পাহাড়', গ্রেফতার ২
বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, শুনলাম, এই ভদ্রলোকের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ভাইয়ের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। কার্তিক, গণেশ অনেকেই আছেন। এই বিষয়ে আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছি। ইডি যেমন তদন্ত করছে করুক। কিন্তু আদালত দেখুক, ঠিকভাবে তদন্ত চলছে কিনা। তৃণমূল নেত্রীকে সুকান্তের পরামর্শ, সময় আসছে আপনারও। তাই হরি দিন তো গেল সন্ধে হল, পার কর আমারে এই গান করতে করুন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।