বাংলার শিক্ষকরা একসময় গোটা বিশ্বে শিক্ষা প্রদান করতেন। আজ বাংলায় শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করা হচ্ছে
সুকান্ত মজুমদার।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তুলোধনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সংসদের অধিবেশনে নাম না করে কটাক্ষ করলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
লোকসভায় বাজেট অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, "বাংলার শিক্ষকরা একসময় গোটা বিশ্বে শিক্ষা প্রদান করতেন। আজ বাংলায় শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করা হচ্ছে।" সেই সঙ্গে তিনি বলেন, "শিক্ষামন্ত্রী জেলে, উপাচার্য জেলে, আরও অনেককে যেতে হবে।" সুকান্তর দাবি,"তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকেও জেলে যেতে হবে। মোদি সরকারের আমলে দুর্নীতি করলে শাস্তি হবেই।" লোকসভায় হুঁশিয়ারির সুরে বলেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার থেকেই সংসদে মহুয়া মৈত্রর অসংসদীয় মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় সংসদ। মহুয়া ক্ষমা চান, চাইছেন বিজেপি নেতারা। এই পরিস্থিতিতে মহুয়ার মন্তব্য নিয়ে আক্রমণ শানান সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও।
. @MahuaMoitra has shamed the entire WB with her unparliamentary language.
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) February 7, 2023
Use of such words shows the TMC culture wherein murder, violence, rape and abuses are so common. TMC leaders have lost their common sense in such atmosphere.
I feel pity for them. Bengal is watching. pic.twitter.com/O0KyuoES8j
সুকান্তর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার করুণ অবস্থা। তিনি বলেন, "আজ রাজ্যপালের উপরে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, রাজ্যের সরকারের বিরোধিতা করছেন রাজ্যপাল। কেন বিরোধিতা করা হবে না?" সুকান্ত জানান, বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যের হলেও তাঁর আচার্য রাজ্যপাল। অথচ, তাঁকে না জানিয়েই ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। এমনকি, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসি-র নিয়ম মানা হয়নি বলেও দাবি করেন বিজেপি সাংসদ।
আরও পড়ুন: ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’-এর মাধ্যমে চলত দুর্নীতি! মানিক-কুন্তলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি
নিয়ম অনুযায়ী, কোনও অধ্যাপক ১০ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করলে, তবেই তিনি উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতা লাভ করেন। পাশাপাশি, উপাচার্য হতে হলে তাঁর একাধিক গবেষণাপত্র থাকাও বাধ্যতামূলক। অথচ, সুকান্তর অভিযোগ, কলেজের প্রিন্সিপালকেই উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করে দেওয়া হচ্ছে। মানা হচ্ছে না কোনও নিয়ম নীতি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।