Sukanta Majumdar: অভিষেকের কনভয় হামলা নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?
তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম জেলায় মাঝে মধ্যে বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় বোমা পাওয়া যাচ্ছে। শনিবারও লাভপুরে বোমা পাওয়া গিয়েছে। বগটুইয়ে বোমা উদ্ধার হয়েছে। সদাইপুরে কয়লা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বার বার বোমা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বোমার কেন্দ্র ভূমি এটা। এখানে বড় বড় বিজ্ঞানী ছিলেন। এখন তিনি তিহার জেলে রয়েছেন। তাঁর নাম অনুব্রত মণ্ডল। তিনি পরমাণু বিজ্ঞানী। তাঁর জায়গায় বোমা পাওয়া যাবে না কি ফুল পাওয়া যাবে? প্রশাসন একেবারে ভেঙে পড়েছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, "রাজ্যটা কোর্ট চালাচ্ছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীও থাকবে কি থাকবে না এটা কোর্টই ঠিক করবে বলে আমার মনে হয়"। প্রসঙ্গত, শনিবার থেকে দলের একটি প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে তারাপীঠে। সেই শিবিরে যোগ দিতে শুক্রবার রাতেই তারাপীঠে পৌঁছে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়ূরেশ্বর থানার কল্লেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দেন তিনি। শনিবার সকালে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেন তিনি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, "আমরা কোনও রকম হিংসাকে সমর্থন করি না। সেটা যার উপরে হোক না কেন। এর একটা সমাধানের রাস্তা খোঁজা উচিত। রাজ্য সরকারের উচিত সহৃদয় হয়ে কুড়মিদের সঙ্গে আলোচনায় বসা। আর পিসি ভাইপো এখন ভয় পেলেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। ওদের এখন বিজেপি ফোবিয়া হয়ে গিয়েছে। আর হামলাটা কে করেছে সেটা দেখা দরকার।" অভিষেকের কনভয়ের আক্রমণ বিজেপির কাজ নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে সে প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, "ওকে বিজেপি মারতে যাবে কেন? ও তো মরাই। আজ নয় কাল সিবিআই টেনে নিয়ে যাবে"।
বারাকপুরে শ্যুট আউট কাণ্ডে সাংসদ অর্জুন সিংহের বেসুরো মন্তব্য নিয়ে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, "সময় আছে। অপেক্ষা করুন। আরও সুর বেসুরো হয়ে যাবে। যারা এখন সুরে গাইছেন, যত দিন যাবে বেসুরো হবে। কারণ পুরো জিনিসটাই তো ডামাডোল চলছে এখন। শেষ মুহূর্তে তৃণমূল মুষল পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু বেসুরো হচ্ছে। এরপর মুষল দিয়ে হবে। যে দলের সাংসদরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, সেটা সরকারের ব্যর্থতা"। তিনি আরও বলেন,"তৃণমূলকে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে হবে না। ওরা আগে মদন, অর্জুন, ফিরহাদদের সঙ্গে লড়াই করুক। তারপর বিজেপির সঙ্গে করবে"।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, "বিস্ফোরণের উপর বসে আছে রাজ্য। পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে বহু বাড়ি ভেঙে পড়বে। বহু মানুষের মৃত্যু হবে। আর এই পুলিশ দিয়ে কোনওভাবেই শান্তিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে না। কারণ পুলিশের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে এই সরকার। শাসক দলের ছোট বড় মাঝারি সব নেতা পুলিশকে বাড়ির চাকরবাকর মনে করেন। ফলে এই পুলিশ দিয়ে নির্বাচন সম্ভব নয়"।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।