Bhasha Shahid: রাজেশ-তপাসকে ‘ভাষা শহিদ’ সম্মান জানানোর দাবি তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্তর…
মমতাকে চিঠি সুকান্তর। সংগৃহীত চিঠি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা ভাষাকে ভারতীয় ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। অবশ্য বাংলা ভাষার এই মর্যাদার জন্য নানা মহল থেকে অনেক দিন ধরেই দবি উঠছিল। এবার কেন্দ্রীয় সরকার সেই সম্মান জানিয়েছে। বাংলার মুকুটে আরেক পালক যুক্ত হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যে বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আরও এক নতুন দাবি রাখলেন। ২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর দাড়িভিটে দুই স্কুল পড়ুয়াকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। তাঁদের একটাই দাবি ছিল— স্কুলে উর্দু নয়, বাংলার শিক্ষক চাই। তাই এই দুই আত্মবলিদানকারী ছাত্রদের ‘ভাষা শহিদ’ (Bhasha Shahid) হিসেবে সম্মান জানানোর কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
ঘটনা ঘটেছিল ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে। স্কুলে কোনও উর্দু পড়ুয়া না থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার উর্দু শিক্ষক জোর করে নিয়োগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের দাবি ছিল বাংলা, ইংরেজি, সংস্কৃত এবং বিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। প্রতিবাদে স্কুলের মধ্যে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলে। এরপর ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস এবং লাঠি চালানো হয়। এরপর পুলিশ প্রকাশ্যে গুলি করে। গুলি গিয়ে লাগে রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মণের বুকে এবং পেটে। ঘটনায় বিপ্লব সরকার নামে আরও এক ছাত্রের পায়ে গুলি লেগেছিল। কিন্তু অত্যধিক রক্তক্ষরণের কারণে রাজেশ-তাপসের (Bhasha Shahid) মৃত্যু হয়। একই ভাবে পুলিশের লাঠির আঘাতে আরও অনেক ছাত্র আহত হয়েছিলেন। এরপর থেকে ওই গ্রামে ‘বাংলা মাতৃভাষা দিবস’ রূপে ২০ সেপ্টেম্বর পালন করা হয়। উল্লেখ্য কারা গুলি চালিয়েছিল, এখনও পর্যন্ত সন্ধান করে নাম প্রকাশ্যে আনতে পারেনি পুলিশ বা সিআইডি। এবার স্বীকৃতির দাবিতে মমতাকে চিঠি লিখলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)।
আমাদের প্রাণের মাতৃভাষা বাংলার 'ধ্রুপদী' স্বীকৃতি লাভের পর এবার রাজ্য সরকারের আমার আবেদন, উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিটের আত্মবলিদানকারী দুই ছাত্র রাজেশ-তাপস কে 'ভাষা শহীদ' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। pic.twitter.com/LU8pWfFiSi
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) October 4, 2024
আরও পড়ুনঃ নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, নিষ্ক্রিয় পুলিশকে ঝাঁটাপেটা, ফাঁড়িতে আগুন, অগ্নিগর্ভ জয়নগর
এখন এই মৃত্যুর কারণ স্বরূপ সুকান্ত (Sukanta Majumdar), মমতাকে চিঠিতে লিখেছেন, “ওই স্কুলে প্রয়োজন ছাড়াই উর্দু শিক্ষকের নিয়োগকে কেন্দ্র করে একটি ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কারণ ওই এলাকায় উর্দুভাষী মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম। জোর করে উর্দু শিক্ষক চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হওয়া পড়ুয়াদের উপরে লাঠি, গুলি চালায় পুলিশ। দুই ছাত্র তাপস বর্মণ ও রাজেশ সরকারের মৃত্যু হয়। বাংলা ভাষার ধ্রুপদী স্বীকৃতি মেলার পরে রাজ্য সরকার ওই দুই ছাত্রকে ভাষা শহিদ হিসেবে ঘোষণা করুক। দাড়িভিটে তৈরি করা হোক দুই শহিদ স্মারক (Bhasha Shahid)।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।