Bengali Language: ধ্রুপদী ভাষা বাংলা, অথচ বঙ্গভূমে উর্দু আগ্রাসন! মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন সুকান্তর
মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মুখে বাংলাকে (Bengali Language) ধ্রুপদী ভাষার তকমা দিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার (PM Modi)। সেই আনন্দ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। একই সঙ্গে রাজ্যের পাঠ্য পুস্তকে বাংলা ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে, দেখা যাচ্ছে উর্দু আগ্রাসন, তাই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন সুকান্ত। প্রশ্ন তুললেন বাংলার গৌরব ক্ষুন্ন করে কেন উর্দুকে প্রাধান্য দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।
এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumdar) দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য বাংলার পাঠ্যপুস্তক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলা ভাষা। তিনি বলেন, ‘‘ আপনার ভোট-ব্যাঙ্কের অন্যায় রাজনীতির স্বার্থে বাংলার পাঠ্য পুস্তক থেকে যেভাবে একের পর এক বাংলা শব্দ ধীরে ধীরে রূপান্তরিত হয়েছে উর্দুতে, আজ আনন্দের দিনেও সেগুলি বাঙালির জন্য উদ্বেগের।’’ সম্প্রতি বাংলাদেশেও শেখ হাসিনা সরকারের পতনের উর্দু আগ্রাসন চোখে পড়েছে।
আজকের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের একজন নাগরিক এবং বাঙালি হিসেবে বাংলা ভাষার জাতীয় স্বীকৃতিলাভের আনন্দ আপনার সঙ্গেও ভাগ করে নিচ্ছি। ভারতের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে গৃহীত এই সিদ্ধান্ত সমগ্র বাঙালি সমাজকে গৌরবান্বিত করেছে। তবে… https://t.co/xntJRHdB5A
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) October 4, 2024
মুখ্যমন্ত্রীর তোষণনীতির ফলে রাজ্যে বাংলা ভাষার জন্য লড়াই করা দুই শহিদের কথাও এদিন উল্লেখ করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তাঁর কথায়, ‘‘আজকের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের একজন নাগরিক এবং বাঙালি হিসেবে বাংলা ভাষার (Bengali Language) জাতীয় স্বীকৃতিলাভের আনন্দ আপনার সঙ্গেও ভাগ করে নিচ্ছি। ভারতের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে গৃহীত এই সিদ্ধান্ত সমগ্র বাঙালি সমাজকে গৌরবান্বিত করেছে। তবে একই সঙ্গে আজ স্মরণ করছি সাম্প্রতিক পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করা দুই শহিদকেও। ২০১৮ সালে বাংলার পবিত্র ভূমিতেই উর্দু আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হতে হয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের দাঁড়িভিটের দুই বাঙালি সন্তান রাজেশ বর্মন এবং তাপস সরকার - কে। আজকের দিনে তাঁরা সশরীরে জীবিত থাকলে হয়তো প্রতিটি বাঙালির মতোই গর্বিত অনুভব করতে পারতেন!’’
আরও পড়ুন: ধ্রুপদী ভাষার তকমা পেল বাংলা, আপামর বাঙালিকে পুজোর উপহার মোদি মন্ত্রিসভার
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল। অবরোধ থেকে শুরু করে ইট পাথর ছোড়ার মতো ঘটনাও ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পেরে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। সেই গুলিতেই মৃত্যু হয় দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ ও তাপসের। এই ঘটনার তদন্ত করছে এনআইএ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।