সন্দেশখালি থানার সামনে জোর করে আটক করা হল সুকান্তকে, তারপর?
সুকান্ত মজুমদারকে ঘিরে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি থানার সামনে টানা দেড় ঘণ্টা অবস্থানের পর সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) আটক করে টোটোয় চাপিয়ে পুলিশ তাদের নৌকায় তুলল। পুলিশের অভিযোগ, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেছেন তিনি। এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তার আগে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। সুকান্তকে নিয়ে নৌকা অনেকক্ষণ মাঝ নদীতে দাঁড়িয়ে ছিল। তাতে আলোও জ্বালানো ছিল না। ফলে তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।
উল্লেখ্য, আজ সন্দেশখালিতে পৌঁছান সুকান্ত। বিজেপি কর্মী বিকাশ সিং-এর বাড়িতে দেখা করে সন্দেশখালি থানায় যান তিনি। কিন্তু ঢুকতে বাধা দিলে থানার সামনে অবস্থান করেন। এরপর তিনি বলেন, “শাহজাহান শেখ গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে রাতভর চলবে বিক্ষোভ।” সরস্বতী পুজোর দিন যাত্রা শুরু করলেও পুলিশের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। পথেই নিগ্রহের শিকার হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর কলকাতায় চিকিৎসা করানোর জন্য তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়।
এলাকার বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে থানার সামনে অবস্থান করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “সংবাদ মাধ্যমে শেখ শাহজাহান-উত্তম-শিবুর নাম জেনে গিয়েছেন সকলে। ওঁরা মাথা। কিন্তু ওঁদের নিচে একটা পরিকল্পিত টিম রয়েছে। পুরো কাজ করা হয়েছে এখানে পরিকল্পিত ভাবে। এলাকার আদিবাসীদের বিঘার পর বিঘা জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি করা হয়েছে। জমির মালিকদের জমির উপর কোনও অধিকার নেই। নিচুতলার জিয়াউদ্দিন, সিরাজ, আল্মগীর এঁরাই হলেন আসল লোক। সকল দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে। ভেড়ির লিজের টাকা কোথায় যাচ্ছে, কারা আদায় করছে জানতে হবে। সাংবাদিকদের ক্যামেরা সরে গেলেই আবার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে।”
বসিরহাট থেকে সন্দেশখালির পথে যাত্রা শুরু করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রথমে তাঁকে ধামাখালিতে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, তাঁকে একাই যেতে হবে। নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া আর কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। অবশ্য এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে অবশ্য দলের একজনকে নিয়ে যেতে পারবেন বলে অনুমতি চাইলে পুলিশ তার অনুমতি দেয়নি। এরপর একাই লঞ্চে ওঠেন। তারপরে সন্দেশখালিতে পৌঁছানোর পর তাঁকে উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি এবং পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে স্বাগত জানায় এলাকার মানুষ। এরপর এলাকার নিপীড়িত মহিলাদের বক্তব্য শোনেন।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালি যাওয়ার আগে বসিরহাট উপসংশোধনাগারে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রথমে তাঁকে দেখা করতে না দিলে পরে কিছুক্ষণ বিক্ষোভের পর সংশোধনাগারে প্রবেশ করেন এবং বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। ইতিমধ্যে পুলিশ মোট ১১ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।