সুকন্যার কললিস্ট খতিয়ে দেখলেই মিলবে সব তথ্য, দাবি বিরোধী দলনেতার
বীরভূমের সিউড়িতে শুভেন্দু অধিকারী (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে অসহযোগিতা করেছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। বৃহস্পতিবার কেষ্ট গড়ে একটি অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে একটি প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এর আগে সুকন্যার বাবা অনুব্রতকে ডুবিয়েছিলেন। একজন বিধায়ক, সাংসদ না হয়েও এই জেলার তাকে সম্রাট তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের কেষ্টর কথা শোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল। দুর্নীতির তদন্তে সুকন্যা সহযোগিতা করলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে নিয়ে হয়তো ভাবনা চিন্তা করত। আসলে তিনি তা করেননি। তিনি বাবার কাছে থাকতে চেয়েছিলেন, তাঁর ইচ্ছা পূর্ণ হল। তবে, এটা বলতে পারি, সুকন্যার ফোনের কললিস্ট খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, মুখ্যমন্ত্রী নিজে বা ফিরহাদ হাকিম, রানা সিংহ, বিকাশ রায়চৌধুরীকে দিয়ে হোক কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে না যাওয়ার জন্য সুকন্যাকে বলেছিলেন। নিজে তো ডুববেন, অন্যদের তিনি এভাবে ডুবিয়ে ছাড়বেন। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, বাবার পাপের ফল মেয়েকে ভুগতে হচ্ছে। আসলে দুর্নীতির জন্য মানিক ভট্টাচার্য এবং অনুব্রত মণ্ডলের গোটা পরিবার জেলে রয়েছেন। রাজ্যে এই ধরনের সংস্কৃতি নতুন। এই লজ্জা রাখার জায়গা নেই।
কয়েকদিন আগেই বীরভূমের সিউড়ির পুরন্দরপুরে বাহিরি কালীতলা এলাকায় ভুবন ব্রহ্মচারী নামে এক সন্ন্যাসীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরে, ময়না তদন্তের রিপোর্টে ওই সন্ন্যাসী আত্মহত্যা করেছে বলে উল্লেখ রয়েছে। যদিও গ্রামবাসীরা ওই সন্ন্যাসী আত্মহত্যা করেছে বলে মানতে নারাজ। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের একাধিক মঠের মহারাজ, সন্ন্যাসীরা বৃহস্পতিবার হাজির হন। প্রতিবাদ মিছিল করেন। সেই কর্মসূচিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সামিল হয়েছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, যে ভাবে তাঁর দেহ ঝুলছিল তাতে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হয় না। আমরা তাঁর ওই মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি। এদিন একজন সনাতনী হিসেবে ওই সন্ন্যাসীকে শ্রদ্ধা জানাতেই এখানে হাজির হয়েছি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।