গরু পাচার মামলায় জড়িয়েছে সুকন্যার নামও...
অনুব্রত-সুকন্যা
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েক মাস আগেই বন্ধ হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের মাইনে। বোলপুরের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন সুকন্যা। তাঁর বেতন বন্ধের খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এই মুহূর্তে গরু পাচার মামলায় হাজতে রয়েছেন বাবা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এই মামলায় জড়িয়েছে সুকন্যার নামও। হিসাব-বহির্ভূত সম্পত্তির উৎসের খোঁজে বার বার ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হয়েছে সুকন্যাকে। জানা গিয়েছে, দিনের পর দিন স্কুলে না গিয়েও মাইনে নিয়েছেন সুকন্যা। আর এবার তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা। সরকারি সিদ্ধান্তেই বেতন বন্ধ হয়েছে সুকন্যার।
এবিষয়ে বীরভূম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক মন্তব্য করেন, সরকারি নিয়মে স্বাভাবিকভাবেই বেতন বন্ধ হয়েছে সুকন্যা মণ্ডলের। তিনি তাঁর প্রাপ্য ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও স্কুলে যোগ দেননি। ফলত সরকারি নিয়ম অনুসারে ছুটি শেষ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও কাজে না আসায় উইদাউ পে হয়ে গিয়েছেন তিনি।
বীরভূম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান জানান, যেদিন অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল আবার কাজে যোগ দেবেন, তাঁকে এই ঘটনার জন্য কারণ দর্শাতে হবে। সেই শো-কজের জবাব অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ (Anubrata Mondal)। জানা গিয়েছে, এ বছরের শুরু থেকেই বেতন পাচ্ছেন না সুকন্যা। জানুয়ারি ২৩ থেকে বেতন বন্ধ তাঁর।
আরও পড়ুন: জামিনে 'না' আদালতের, ৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী-পুত্রও
অনুব্রতর (Anubrata Mondal) বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাড়ির এত কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও মাসের পর মাস স্কুলে যান না সুকন্যা। এমনকি স্কুলের পড়ুয়ারা চেনে না পর্যন্ত এই শিক্ষিকাকে। অনুব্রতর গ্রেফতারির পরেই সুকন্যার স্কুলে না যাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। অভিযোগ ওঠে, সুকন্যা স্কুলে না গিয়েও, সই করার জন্য জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতের বাড়িতেই পৌঁছে যেত স্কুলের রেজিস্টার খাতা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সুকন্যাকে তলবও করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুকন্যা আদালতে হাজিরাও দিয়েছিলেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।