২০২০ ও ২১ সালে কোভিডের জন্য চাহিদা অনেক কমে গিয়েছিল, কিন্তু পরিস্থিতি ঠিক হতেই আবার তা বাড়ছে
সুন্দরবনের এই কাঁকড়ার মতো সুস্বাদু কাঁকড়া পৃথিবীর আর কোথাও নাকি পাওয়া যায় না-- নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশের মাটিতে বেড়েছে বাংলার কাঁকড়ার চাহিদা। চিন, হংকং, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ম্যালয়েশিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশেই বেড়েছে সুন্দরবনের (Sunderban) মেল ও ফিমেল গ্রেড কাঁকড়ার চাহিদা। শুধু তাই নয়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও এই কাঁকড়া রফতানি হচ্ছে বাংলা তথা পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপ সুন্দরবন থেকেই। ২০২০ ও ২১ সালে কোভিডের জন্য এর চাহিদা অনেক কমে গিয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি ঠিক হতেই আবার আমদানি-রফতানি বাড়ছে।
সুন্দরবনের ঘন জঙ্গল, গভীর নদী ও মোহনা এখানকার মৎস্যজীবীদের অনেক সময় ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কুমির ও বাঘ ছাড়া বিষাক্ত সাপের কামড় তো আছেই। অনেক সময় মৎস্যজীবীদের এসব কারণে মৃত্যুও হয়। সুন্দরবনের (Sunderban) বেশিরভাগ মানুষই মৎস্যজীবী। তাই তাঁদের এসবের মধ্যেও জীবিকা চালিয়ে যেতে হয়। মৎস্যজীবী ছাড়াও মধু এবং কাঠ সংগ্রহ মানুষের প্রধান জীবিকা। এখানকার আরও একটি জনপ্রিয় জিনিস হল কাঁকড়া। মৎস্যজীবীরা নদীনালায় সূতলি ফেলে এই কাঁকড়া ধরেন এবং সেগুলি পাইকারি দরে বিক্রি করেন। আড়ৎ থেকে পাইকারিরা নিয়ে চলে যান কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায়। কলকাতা থেকে সেগুলি আবার চলে যাচ্ছে বিদেশের মাটিতে।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা কী জানিয়েছেন ?
স্থানীয় কাঁকড়া ব্যবসায়ী ও কাঁকড়ার আড়ৎদার সুজয় মণ্ডল ও জগদীশ বর্মন জানিয়েছেন, সুন্দরবনের কাঁকড়ার মতো সুস্বাদু কাঁকড়া পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। বিশেষ করে সিঙ্গাপুর ও চিনে এর বিরাট চাহিদা। এই কাঁকড়ার দুরকম প্রজাতি আছে। এক মেল ও অন্যটি হল ফিমেল। ফিমেল গ্রেড কাঁকড়ার জনপ্রিয়তা বেশি। কারণ এর মধ্যে মাংসের পরিমাণ বেশি থাকে। তাছাড়াও কলকাতার কিছু চাইনিজ রেস্তোরাঁয় এর খুব চাহিদা রয়েছে।
এই কাঁকড়াগুলিকে বাজারে গ্রেড হিসাবে বিক্রি করা হয়। এখানে ২ প্রকার কাঁকড়া পাওয়া যায়, মেল ও ফিমেল। এই ফিমেল কাঁকড়ার ৫ টি গ্রেড আছে ও মেল কাঁকড়ার ৩ টি গ্রেড আছে। গ্রেড হিসাবে বাজারে (Sunderban) এই কাঁকড়ার দাম ওঠে। ১০০ গ্রাম থেকে শুরু করে ১৮০ গ্রাম পর্যন্ত ফিমেল কাঁকড়ার গ্রেড শুরু হয় অর্থাৎ গ্রেড ১,২,৩,৪,৫ পর্যন্ত। এই ফিমেল কাঁকড়ার দাম ওঠে ১৪০০ টাকা প্রতি কেজি পর্যন্ত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।