পুজোর আগে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্য বালি মাফিয়াদের কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপি সাংসদ
দুর্গাপুর ব্যারেজ পরিদর্শনে বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন জলাধার থেকে ছাড়া হচ্ছে জল। চলছে টানা বৃষ্টি। সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুর্গাপুর ব্যারেজ (Durgapur Barrage) পরিদর্শনে যান বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। তিনি বলেন, নজরদারির অভাবে অনৈতিকভাবে বালি তোলাই বন্যার কারণ।
অবৈধভাবে বালি তোলার জেরে প্লাবন! দুর্গাপুর ব্যারেজ (Durgapur Barrage) পরিদর্শনে এসে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। এমনকী পরিদর্শনে এলেও তালা খুলে দেখানো হল না দুর্গাপুর ব্যারেজের অটোমেশিন পদ্ধতি 'স্কাডা'র কাজ। আর তাই নিয়ে বিস্তর রহস্য দানা বেঁধেছে। প্রশ্ন উঠেছে, জলে টইটম্বুর ব্যারেজে যখন লক্ষাধিক কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে, তখন অপারেটার না থাকায় তালা খুলল না 'স্কাডা'। এদিন সাংসদ বলেন, 'দুই জেলায় দামোদর উপকূলবর্তী কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমি কোনও সমস্যা আছে কিনা জানতে চাইলাম। সমস্যা থাকলে সহযোগিতা করব বললাম। আমাকে নিয়ে গিয়ে ভেতরে বসিয়ে রাখা হল। কী কারণে স্কাডা সিস্টেম দেখালো না, তা বুঝতে পারছি না। এদের আচরণ সন্দেহজনক। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, 'নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা হচ্ছে। বালি তোলার অনুমতি জেলা প্রশাসন দিলেও নজরদারি নেই। নদীর কিনারায় বালি তোলার ফলে গতিপথ বদলে যাচ্ছে। ফলে নদী তীরবর্তী গ্রাম ও চাষজমি প্লাবিত হচ্ছে। তাই নদী থেকে বালি তোলায় নজরদারি দরকার।"
সাংসদ বলেন, এর আগেও দামোদরের (Durgapur Barrage) ড্রেজিং এর ব্যাপারে আমি বলেছি, আবারও বলব। তবে, সাংসদের যুক্তি, জল ছাড়া হলে জলের প্রধান স্রোতের সঙ্গে বালি ভেসে চলে যায় বলে স্বাভাবিকভাবে ড্রেজিং করার প্রয়োজন হয়। তিনি কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের দোষ দেখছেন না। তিনি প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ১৯৭৮ সালে চার লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল, তখন সামাজিক মাধ্যম ছিল না। সাংসদের কথায় দুই ধারে বালি জমে যায় ফলে বালি তোলার জন্য সরকারিভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। সাংসদ দায়ী করছেন, অন্যায়ভাবে বালি উত্তোলন করা হয় বালিঘাটের কাছেই। জেসিবি দিয়ে বালি তোলা হয়। তাই,আশপাশের গ্রামগুলিতে বন্যা হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।