Bogtui Massacre: কাউকে বাঁচাতে লালনকে হল না তো...? প্রশ্ন সুকান্তর
শুভেন্দু - সুকান্ত
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুইকাণ্ডের (Bogtui Massacre) মূল অভিযু্ক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু। কিছুদিন আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয় ও সিবিআই হেফাজতে রাখা হয়। তাকে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে রাখা হয়েছিল। এর পর গতকাল বিকেলে তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এর ফলে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার মধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক দাবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, লালনের মৃত্যুর নেপথ্যে পুলিশের হাত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। আবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। ফলে লালনের রহস্যময় মৃত্যু নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
গতকাল হাজরায় সভা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সেখানে সভাশেষে সংবাদমাধ্যমে শুভেন্দু বলেন, “লালন শেখের নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ, তাই পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। যা সত্য, তা সামনে আসা উচিত। যেটুকু আমি শুনেছি, সিবিআই আধিকারিকেরা সেই সময় আদালতে গিয়েছিলেন। তবে, সবটাই শোনা।” এদিকে লালনের মৃত্যু নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দেখতে হবে, লালনকে কোথায় রাখা হয়েছিল। তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কাউকে বাঁচাতে এটি করা হল কি না সেটাও দেখা উচিত।”
আরও পড়ুন: আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ, বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মৃত্যু নিয়ে দাবি সিবিআইয়ের
সিবিআই ও পরিবারের দাবি
গতকাল সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়েছিল যে, লালন আত্মহত্যা করেছে (Bogtui Massacre) । কিন্তু পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাকে খুন করা হয়েছে। গতকাল সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। সূত্রের খবর, লালনের গলায় ফাঁস থাকলেও শৌচাগারের মেঝেতে তাঁর পা ঠেকে ছিল। তাই প্রশ্ন উঠছে কীভাবে তাহলে ফাঁস লাগল? লালন শেখের দিদির বক্তব্য, “এত মেরেছে যে লালন দাঁড়াতে পারছিল না। ওকে খুন করা হয়েছে। আমরা শাস্তি চাই, সিবিআইয়ের শাস্তি চাই।”
চড়ছে উত্তেজনার পারদ। গতকালের ঘটনার পর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখান লালনের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন। যদিও পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় তার জন্য রাতে পুলিশি নিরাপত্তাও বাড়ানো হয় গ্রামে। যে হাসপাতালে লালনের ময়নাতদন্ত হচ্ছে, সেই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যে সিবিআই ক্যাম্পে লালনের মৃত্যু, তার সামনেও পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে, রয়েছে কেন্দ্রীয়-নিরাপত্তাও। সোমবার রাতেই রামপুরহাটের এসডিপিও জানান, যে সমস্ত জায়গা তাঁদের কাছে উত্তেজনাপ্রবণ, সেই সমস্ত জায়গাতেই বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। মঙ্গলবার সকালেই সিবিআইয়ের বিশেষ দল পৌঁছেছে রামপুরহাটের ক্যাম্প অফিসে। তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও (Bogtui Massacre) ।