Suvendu Adhikari: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘সেই সময় বিধাননগর কমিশনারেটের প্রধান ছিলেন...’
অভিষেক ও শুভেন্দু (ফাইল)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাকাণ্ডে (Coal Smuggling scam) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার খয়রাশোলের (Khairasol) সভা থেকে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে তুলোধনা করেন। ফের উত্থাপন করেন সোনা পাচারের বিষয়টি।
ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু? গতকাল অভিষেক দাবি করেছিলেন, ইডি-সিবিআই-কে বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। এপ্রসঙ্গে জবাব দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার খয়রাশোলের গোষ্ঠডাঙাল মাঠে সভা ছিল শুভেন্দুর। সভা শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, এখানে প্রতিহিংসা বা রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। যা হচ্ছে, আদালতের নির্দেশে ও নজরদারিতে। শুভেন্দু জানিয়ে দেন, ইডি কারও বিরুদ্ধে এমনি-এমনিই ব্যবস্থা নেয় না।
আরও পড়ুন: এবার তৃণমূল পুর-চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৮০ লক্ষ নগদ! কে এই রাজু সাহানি?
বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, যিনি (অভিষেক) সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে এত বড় বড় কথা বলছেন, তিনি এটা আগে বলুন যে, রুজিরা নারুলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কী? প্রত্যেক মাসে তাইল্যান্ড থেকে ভাট (তাইল্যান্ডর টাকা) ব্যাংক ট্রান্সফার হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে রুজিরা ও মানেকা গম্ভীর তাঁদের সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেন। ২৪টা কলকাতা-ব্যাংকক ফ্লাইটের টিকিট রয়েছে।
এখানেই থেমে থাকেননি শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘’কলকাতায় আটটা সোনার ব্যাগ নিয়ে আসা হয়েছিল। একটা ধরা পড়ে কাস্টমসের হাতে। সেই সময় বিধাননগর কমিশনারেটের প্রধান ছিলেন জ্ঞানবন্ত সিং (Gyanwant Singh)। তিনি গ্রিন করিডর করে তাঁদের বের করে এনেছিলেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, ৮টি সোনা ভর্তি ব্যাগ সব গিয়ে ওঠে কালীঘাট (Kalighat) অঞ্চলের ‘শান্তিনিকেতন’-এ।’
আরও পড়ুন: মানিকের অপসারণ বহাল, এখনই চাকরি পাবেন না ২৬৯ জন, নির্দেশ হাইকোর্টের
কয়লা পাচারকাণ্ডে শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা সংক্ষেপে ইডির দফতরে সাত ঘণ্টা জেরার মুখোমুখি হওয়ার পর বেরিয়ে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন যে এই মামলায় ফেরার বিনয় মিশ্রর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর নিয়মিত যোগাযোগ আছে। খয়রাশোল থেকে পাল্টা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। জানিয়ে দেন, যিনি এধরনের অভিযোগ করছেন, তা প্রমাণ করার দায়ও তাঁরই। নন্দিগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘বিনয় মিশ্রকে যুব ভাইস প্রেসিডেন্ট করেছিলেন অভিষেক। যুব দলের সাধারণ সম্পাদকও করেছিলেন। বিনয় মিশ্রের সঙ্গে ওঁর কী সম্পর্ক, সবাই জানে। আমার ফোন নম্বরও সবাই জানে।’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।