কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করেছে, সেখানে দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রতারণা করে ৬ শতাংশ বাড়িয়েছে...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ (DA) ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মহার্ঘ ভাতা ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। ৪৭ লক্ষ ৫৮ হাজার কর্মী এবং ৬৯ লক্ষ ৭৬ হাজার পেনশনভোগী উপকৃত হবেন। এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির ক্যারিশমা। এর ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন বৈষম্য আরও বাড়ল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লেখেন, কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করেছে, সেখানে দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রতারণা করে ৬ শতাংশ বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে ফারাক ৩৬ শতাংশ। ট্যুইট-বার্তায় অন্য রাজ্যের ডিএর হারও তুলে ধরেন তিনি।
এদিকে, বাম জমানায় নিয়োগে স্বজন-পোষণ নিয়েও মুখ খুললেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, বাম আমলে (DA) আমিও রাজনীতি করেছি। কিন্তু শিক্ষক পদে নিয়োগ দুর্নীতি হয়নি। সেই সময় প্রাথমিকে আর শিক্ষাকর্মী পদে ব্যাপক নিয়োগ হয়েছিল। বামেরা টাকা নিয়ে চাকরি দেয়নি। শুধু দলের ক্যাডারদের চাকরি দিয়েছে। তিনি বলেন, সেই সময় নিয়োগের দায়িত্বে থাকত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি। সেই সুযোগই নিয়েছিল বামেরা। তাঁর দাবি, কলেজে চাকরির ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছিল। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরিতে অনিয়ম হয়ে থাকলেও, যা যে প্রমাণ করা সম্ভব নয়, তাও জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। হাতে লেখা চাকরির নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরির দুর্নীতি যে প্রমাণ করা সম্ভব নয়, তাও জানান তিনি।
শুভেন্দুর দাবি, সিপিএম হোলটাইমারদের আত্মীয়দের চাকরির ব্যবস্থা করে দিত। যাতে তারা দলকে আরও বেশি সময় দিতে পারে। শুভেন্দুর বক্তব্যের সারমর্ম হল, বাম জমানায় টাকা নিয়ে চাকরি হয়নি। তবে স্বজনপোষণ হয়েছিল। প্রসঙ্গত, বাম আমলে স্বজনপোষণ যে হয়েছিল তার বড় প্রমাণ জলপাইগুড়িতে বাম আমলে (DA) প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির প্যানেল বাতিলের ঘটনা। সেই সময় জেলা বামফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃত্বের একের পর এক আত্মীয়ের চাকরির বিষয়টি সামনে আসে। তার সঙ্গেই সামনে এসেছিল একাধিক বাম নেতার আত্মীয়-স্বজনদের ঘুরপথে চাকরি দেওয়ার বিষয়টিও।