শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না, কেন বলল হাইকোর্ট?
কলকাতা হাইকোর্ট।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির। ওই মামলার শুনানিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, আদালতের অনুমতি ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া যাবে না। শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। অন্তর্বর্তী নির্দেশে আদালত জানিয়েছে, রাজ্য তদন্ত চালাতে পারবে। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, মামলা বিচারাধীন, রাজ্য পুলিশ নোটিশ পাঠালেও তাতে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৩ জুন।
পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের কাছে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারির (Suvendu Adhikari) কনভয়ের এক গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় শেখ ইস্রাফিল নামের বছর তেত্রিশের এক ব্যক্তির। পরে মৃতদেহ নিয়ে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে মিছিল করে তৃণমূল। ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। পরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দুর অভিযোগ, যে রুটে তাঁর কনভয় যাচ্ছে, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে না রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুুন: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের
সেদিন রাজ্যের তরফে আদালতে দাবি করা হয়, মাঝে মধ্যেই পাইলট কারকে অতিক্রম করে চলে যায় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয়। এই মামলার প্রেক্ষিতে ভিআইপিদের নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থার আয়োজন করা হয় তা বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। কীভাবে রুট লাইনিং করা হয়, কী বন্দোবস্ত থাকে, সে ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল আদালত। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই মামলায় কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ নয় বলেও জানিয়ে দেন বিচারপতি মান্থা।
আরও পড়ুুন: ‘কানমলা খাওয়ার আগে উনি নিজেই এনআইএ মেনে নিয়েছেন’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।