Suvendu Adhikari: রাজ্যজুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু...
স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতি নিয়ে সরব শুভেন্দু অধিকারী (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের পর রাজ্যের একের পর এক মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নম্বর দুর্নীতি সামনে এসেছে। সেই ঘটনায় সেখান ডিন পদত্যাগ করেছেন। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এই আবহের মধ্যে এবার ফের 'স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দুর্নীতি' (Health Scam) নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দুর্নীতি, নিয়োগ-রেশন কেলেঙ্কারির থেকেও বড়। স্বাস্থ্য দফতরের (Health Scam) বড় অংশ রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। শুধু আরজি কর মেডিক্যাল নয়, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে রাজ্যজুড়ে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। কোভিড-কালে পিএম কেয়ারের যে টাকা এসেছিল, তার বড় অংশই নয়ছয় করা হয়েছে। আরজি কর হাসপাতালে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে, স্বাস্থ্য দফতরের একটা বড় অংশ রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। আমরা চাই সব মেডিক্যাল কলেজের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করুক সিবিআই।”
আরও পড়ুন: ফের রাজ্য-রাজভবন সংঘাত! মমতার ‘অপরাজিতা বিল’ রাষ্ট্রপতিকে পাঠালেন বোস
আরজি কর কাণ্ডের দুর্নীতি (Health Scam) নিয়ে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। ফের প্রশ্ন তুললেন কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। শুভেন্দু বলেন, ‘‘সরকারের মিথ্যাচার সামনে এসেছে। দেখা গিয়েছে পুলিশকে দিয়ে কীভাবে মিথ্যা বলানো হয়েছিল, ডাক্তার বোনের মা-বাবা যেভাবে মুখ খুলেছেন তাতে পুলিশের মুখোশ টেনে খুলে দিয়েছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সন্দীপ ঘোষের আরজি করকে ভাঙচুর করার চিঠি (অর্ডার) সামনে এসেছে। শাহজাহানের মতো, কেষ্ট মণ্ডলের মতো, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো সন্দীপ ঘোষের একটার পর একটা আলিশান বাংলোর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। ওর মাথায় ডাক্তার এসপি দাসের হাত ছিল, তার মানে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ছিল।’’
কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থ, ডিসি সেন্ট্রাল এবং পুলিশ কমিশনারের সিবিআই কাস্টডি চাইছি। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছি।’’ প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের শুরু থেকেই কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। প্রশ্নের মুখে পড়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ভূমিকাও। তাঁকে অপসারণের দাবিতে জল গড়িয়েছে আদালতেও। এরই মধ্যে আবার কিছুদিন আগে ঘটনার দিন অকুস্থলে থাকা লোকজনের ছবি দেখিয়ে চাপে পড়ে কলকাতা পুলিশ। যা আবার দেখিয়েছিলেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। সেখানে অভীক দে নামে এক ব্যক্তিকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্ট বলে দেখানো হয়। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল খোদ আইএমএ। এবার নতুন করে শুভেন্দুর দাবি ঘিরে চলছে চর্চা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।