ওঁর সফরসঙ্গী কারা এবং কোন পদাধিকার বলে...
মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরে রাজ্যের কী লাভ হল? প্রশ্ন শুভেন্দুর।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের কার্যকালে যা করেননি নরেন্দ্র মোদি, এক যুগের মুখ্যমন্ত্রিত্বে তাই করে দেখালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! টানা এগারো দিন ধরে করলেন বিদেশ সফর। মমতার এই বিদেশ সফরে লগ্নি কত আসবে, তা বলবে সময়। তবে তাঁর এই সফরে যে জনগণের টাকার আদ্যশ্রাদ্ধ হয়েছে, তা বলতে শুরু করেছেন নিন্দুকরা।
মুখ্যমন্ত্রীর চলতি সফরে কত খরচ হয়েছে, তা জানতে চেয়ে আরটিআই করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সফরসঙ্গী কারা, কোন মানদণ্ডে তাঁদের নির্বাচন করা হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন শুভেন্দু। সোশ্যাল সাইটে শুভেন্দু লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়নের লক্ষ্যে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ দিনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও স্পেন সফরে গিয়েছেন। ওঁর এই সফর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মনে যথেষ্ট বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ওঁর সফরসঙ্গী কারা এবং কোন পদাধিকার বলে ওঁরা এই সফরে সঙ্গী হয়েছেন? কিছু বিশেষ ব্যক্তির একাধিক পরিচয় থাকায়, পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মনের মধ্যে ধন্দ সৃষ্টি হয়েছে যে, এই সফরে ওঁরা ঠিক কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন এবং কী বিশেষ যোগদান রাখলেন?”
There has been some public hue & cry regarding Hon'ble Chief Minister Mamata Banerjee's 11 day trip to the United Arab Emirates & Spain. Especially, it has been an issue of public debate that, who accompanied her and in what capacity. Also the expenditure of this "Official" trip… pic.twitter.com/MuUf3LkOEd
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) September 21, 2023
বিজেপি নেতা (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রায় সব জায়গায়ই গত বেশ কয়েক বছর ধরে বলে আসছেন যে তাঁর সরকারের কাছে অর্থ নেই। যে কারণে তিনি সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য মহার্ঘ ভাতাটুকুও দিতে পারছেন না। এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এই ১১ দিনের বিদেশ সফরের খরচের পরিমাণ কত? মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের জন্য কত ব্যয় করা হয়েছে সরকারি কোষাগার থেকে ? কোন কোন খাতে খরচ করা হয়েছে? ইত্যাদি...” তিনি লিখেছেন, “এই সফরে কত টাকা খরচ করা হল এবং তা থেকে রাজ্যের কী লাভ হল, তার মূল্যায়ন করার অধিকার নিশ্চয়ই পশ্চিমবঙ্গের জনগণের রয়েছে। তাই রাজ্যের দায়িত্বশীল বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি তথ্য জানার অধিকার আইন ২০০৫ এর ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির আধিকারিকদের কাছে এই তথ্যগুলি জানতে চেয়েছি, যার প্রতিলিপি এখানে দিলাম।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।