CAA: সিএএ ইস্যুতে মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর...
শুভেন্দু অধিকারী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘সিএএ চালু হওয়ার পর কারোর নাগরিকত্ব গেলে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব। না হলে আপনি দেবেন তো?’’ নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এভাবেই নন্দীগ্রাম থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সম্প্রতি, সিএএ কার্যকর হওয়ার পরেই হাবড়ার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, এই আইন নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে ডিটেনশন ক্যাম্পের কথাও। যার সিএএ-র (CAA) সঙ্গে দূর দূরান্ত পর্যন্ত কোনও সম্পর্ক নেই। সিএএ নিয়ে মমতাকে রাজনীতি বন্ধ করার আর্জিও জানিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শরণার্থী এবং অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ফারাকটাই বোঝেন না।’’
এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন যে, আপনারা দরখাস্ত করলে সব নাগরিকত্ব বাতিল করে দেবে। অধিকার বাতিল করে দেবে। এটা এনআরসি-র সঙ্গে যুক্ত। আপনাদের ডিটেনশান ক্যাম্পে নিয়ে যাবে। এই দরখাস্ত করার আগে বারবার ভাববেন বলে ভয় দেখাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ এর পরই মমতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি বিরোধী দলনেতা ও একজন বিধায়ক হিসাবে বলছি- সিএএ (CAA) চালু হওয়ার পর কারোর নাগরিকত্ব গেলে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব। না হলে আপনি দেবেন তো? সিএএ লাগু হলে কারোর নাগরিকত্ব যাবে না।’’
এদিকে বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও সিএএ (CAA) ইস্যুতে মমতাকে তোপ দেগে বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত এমন একটি ইস্যুতে আপনি রাজনীতি করছেন। আপনি যদি এভাবে তোষণের রাজনীতি করতে থাকেন আর শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে না চান, তাহলে মানুষ আপনার পাশে আর থাকবে না।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংসদে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। সই করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং পরেই তা আইনে পরিণত হয়। সিএএ আইনের মূল বিষয় হল ২০১৪ সালের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান কিংবা বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ও পারসিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।