ফের পুলিশকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন?
গোঘাট থানায় শুভেন্দু (নিজস্ব চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানায় হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পুলিশকে থানায় ঢুকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। মারিশদার পর এবার হুগলির গোঘাট থানা। থানার ভিতরে ঢুকে রনং দেহি মূর্তি ধারণ করলেন বিরোধী দলনেতা।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে ধান কেনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোঘাটের ভিকদাস ধান্য ক্রয় কেন্দ্রের সামনে। কৃষকরা অভিযোগ তোলে, প্রয়োজনের তুলনায় ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে ধান বেশি বাদ দেওয়া হচ্ছে। তার প্রতিবাদেই রাজ্য সড়ক অবরোধ করে কৃষকরা। সেই অবরোধ তুলতে গিয়ে সম্প্রতি কৃষকদের উদ্যেশে গালিগালাজের অভিযোগ হুগলির আরামবাগ মহকুমার গোঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের অরূপ মন্ডলে বিরুদ্ধে । সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই আগেই সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার শ্রীনগরে দলীয় কর্মসূচিতে একটি জনসভা ছিল। সেই সভা শেষ করে সেখান থেকে সোজা আরামবাগের গোঘাট থানাতে এসে হাজির হন শুভেন্দু। কৃষকদের হয়ে প্রতিবাদ জানাতে । এদিন সন্ধ্যায় গোঘাট থানর গেটে বিরোধী দল নেতার কোন এসে পৌঁছাতেই বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকেরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।
শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) গোঘাট থানার সামনে গাড়ি থেকে নামতেই দলীয় নেতা কর্মীরা গেটের সামনেই ফুলমালা দিয়ে সংবর্ধনা জানান। তারপর তিনি ওই এলাকার কয়েকজন কৃষক ও পুরশুড়ার বিধায়ক তথা আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ ও গোঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ কারককে সঙ্গে নিয়ে থানার ভিতরে ঢোকেন। এরপর থানায় ডিউটি অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জিজ্ঞাসা করেন থানার ওসি অরূপ মণ্ডল কোথায়? তার সঙ্গেই কথা বলবো। যদিও ডিউটি অফিসার জানান, তিনি বিশেষ কাজে বাইরে আছেন। তবে এই কথা শোনার পর শুভেন্দু অধিকারী পুলিশ কর্মীদের ধমক চমক দিতে থাকেন।
থানায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এই অকথ্য ভাষায় কৃষকদের গালিগালাজ কখনো মেনে নেওয়া যায় না। আমিও একজন কৃষক পরিবারের ছেলে, আর এই এলাকায় মানুষ কৃষির উপরে নির্ভরশীল, তাই একজন কৃষককে গালিগালাজ করবে মমতা পুলিশ এট মানা যায় না। সতর্ক করে গেলাম। এই ধরনের কোনওরকম ব্যবহার কোনও মানুষের সঙ্গে যেন আর দ্বিতীয়বার করা না হয়। আমি ভেবেছিলাম, তিনি হয়তো নিজে আমার মাধ্যমে কৃষকদের জন্য ভুল স্বীকার করবেন। কিন্তু আমার আসার কথা শুনেই তিনি পালিয়ে গেছেন। বেশ খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পর তিনি বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, মমতার পুলিশ কাপুরুষ। আমি আসবো বলে ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমি আবার আসবো, রেহাই কাউকে দেওয়া হবে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।